আপডেট : ০৭ September ২০১৯
মাংস আমদানির সুযোগ দেওয়া হলে সেটা দেশের জন্য আত্মঘাতী হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স (বিডিএফএ)। তবে গো খাদ্য শুল্কমুক্ত আমদানি, বন্দর থেকে দ্রুত খালাসসহ বিভিন্ন সুযোগ পাওয়া গেলে গরুর মাংস প্রতি কেজি সাড়ে তিনশ টাকায় উৎপাদন করা যাবে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নবোদয় কনভেনশন সেন্টারে খামারি সম্মেলনে এসব কথা জানান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন। বিভিন্ন এলাকার প্রায় এক হাজার খামারি এতে অংশ নেন। সম্মেলনে দেশের সব উপজেলায় পতিত সরকারি জমি খামারিদের ফডার উৎপাদনে লিজ দেওয়া, গবাদিপশু খাদ্য ঘাস,সাইলেজ উৎপাদনে প্রণোদনা, আর্থিক সহায়তা ও ঋণ প্রদান,খামারের বিদ্যুৎ , পানির বিল বাণিজ্যিক আওতামুক্ত করে কৃষির আওতায় আনাসহ ১০ দফা দাবি জানানো হয়। এসব দাবি মানা হলে প্রতিকেজি গরুর মাংস সাড়ে তিন শ টাকায় উৎপাদন করা যাবে বলে জানান তারা।
বিডিএফএর সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে মাংস আমদানির সুযোগের শর্ত দেওয়া হলে সেটি আমাদের দেশের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। কারণ তৈরি পোশাক রপ্তানি করে অর্জিত মুদ্রার বড় অংশ এর কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় হয়। অন্যদিকে দেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরে উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত অর্থনীতির চক্রাকারে যা কিছু ঘটে তার পুরোটাই দেশের বিভিন্ন শিল্প ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, যার সামষ্টিক অর্থনীতি তৈরি পোশাক শিল্পের থেকে অনেক বড়। খামারের সঙ্গে কোটি কোটি মানুষের জীবন জীবিকা সরাসরি নির্ভরশীল। তা ছাড়া বাংলাদেশ বর্তমানে মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশে জনপ্রতি মাংস উৎপাদন ছিল ১১ দশমিক ৬০ গ্রাম, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫ দশমিক ১৪ গ্রাম।
খামারি সম্মেলনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে চেয়ে বাংলাদেশে মাংসের দর কিছুটা বেশি। তবে সিন্ডিকেট করে গবাদিপশুর খাবারের দাম যেন না বাড়াতে পারে সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। এ ছাড়া খামারিদের টিসিবির আওতায় প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে গো-খাদ্য বিতরণ, গো-খাদ্য আমদানি শুল্কমুক্ত করা, বন্দর থেকে গো-খাদ্য দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১