আপডেট : ০১ September ২০১৯
রোহিঙ্গাদের সরকারই ইন্ধন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল শনিবার সকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন রোহিঙ্গাদের ইন্ধন দিচ্ছে কারা, তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এটা ভালো কথা। এখন প্রশ্ন হলো, রোহিঙ্গাদের ইন্ধন দিচ্ছে স্বয়ং সরকার। যদি ইন্ধন না দেয় তাহলে তারা লক্ষ লক্ষ লোক সমবেত হয়ে সমাবেশ করে কীভাবে? তারা মিছিল করে কীভাবে? বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুমতি দেন না পুলিশ সভা-সমাবেশ করতে, অথচ রোহিঙ্গাদের ময়দানে সমাবেশ করতে দেন। আমি তো মনে করি এর পেছনে সরকারেরই ইন্ধন আছে অন্য কোনো কলকাঠি নাড়ার জন্য। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটা আমাদের জন্য প্রকট সংকট, এই ইস্যুটি সমাধান করার ক্ষেত্রে সরকার যদি মনে করে তার সমস্যা তাহলে এই সরকার বোকামি করবে। এই সমস্যাটা জাতীয় সমস্যা, দেশের সমস্যা, জনগণের সমস্যা, এটা সমাধানের ক্ষেত্রে একটা কালেকটিভ লিডারশিপ দরকার। অর্থাৎ সকলে মিলে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদেরকে এই সমস্যাটা মোকাবিল করা বা সমাধান করার পথ সৃষ্টি করা। শুধু তাই না, রোহিঙ্গারা ভিন দেশের লোক, তাদেরকে আশ্রয় দিতে হবে আবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। সেজন্য বিশ্বের যত বড় বড় শক্তিধর দেশ রয়েছে তাদেরও সঙ্গে নিতে হবে এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে সব রাষ্ট্রকে সক্রিয় করেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, সেই কারণেই আজকে বুঝতে হবে রোহিঙ্গারা যেতে চায় না কেন? তারা (রোহিঙ্গা) গেলে সেখানে আপনি কোনো রাজনৈতিক পুঁজি ব্যবহার করতে পারবেন না- এই ভয় থেকে তাদের স্থায়ীভাবে এখানে রেখে জাতীয় সংকট সৃষ্টি করতে চান, সেই ধরনের কথা আসছে। আর যদি এটাকে উন্মুক্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে সব দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষদের সঙ্গে নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয় সেটাই কাজে আসবে এবং ভিন্ন কথা উঠবে না। বিএনপিকে নিয়ে গড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়া বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনার প্রতি সন্মান রেখে বলতে চাই, তারেক রহমানকে নেতা বানানোর জন্য আপনি ফ্রন্টে আসেন নাই। এটা আমরা জানি। আপনি আপনার রাজনৈতিক স্বার্থের বিবেচনায় এসেছিলেন, স্বার্থ বিবেচিত হয়নি আপনি সেখান থেকে ব্যাক করবেন বা ফেরত যাবেন- এটা অস্বাভাবিক কিছু না, এটা বুঝবার মতো সক্ষমতা জনগণের আছে। আপনাকে একটা কথা বলতে চাই, তারেক রহমানকে আপনি নেতা বানাবেন কেন? আপনার ঐক্যফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দেড় যুগ আগেই তারেক রহমান তো বাংলাদেশের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, তিনি নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বলেই তো পত্র-পত্রিকায় তাকে নিয়ে আলোচনা হয়, তার পক্ষে যেমন কথা হয়, তার বিপক্ষেও কথা হয়। রাজনৈতিক নেতৃত্ব মানেই তো তার পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনায় যিনি থাকেন তিনিই তো নেতা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আজকে এইটুকু বুঝতে হবে তারেক রহমানের প্রতি দলের নেতাকর্মীদের যে আস্থা তা কেবল আবেগনির্ভর নয়, এই আস্থা বাস্তবতানির্ভর। আর বাস্তবতানির্ভর করেই ভিন দেশে, দূর দেশে বসেও এত বড় একটি দলকে তিনি নেতৃত্ব দিতে পারছেন। তার সান্নিধ্যে লাভের জন্য সবাই অপেক্ষা করছেন মাত্র। গত ২৬ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবে কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের আলোচনা সভায় কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, তারেক রহমানকে নেতা বানানোর জন্য আমি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিইনি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১-এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়ার পরিচালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির আবদুুস সালাম আজাদ, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের ভিপি খলিলুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের রফিক উল্লাহ ভুঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১