ধীরে ধীরে প্রস্থান হচ্ছে একের পর এক চলচ্চিত্র তারকার। এ তালিকায় যুক্ত হলো আরো একটি নাম। অভিনেতা বাবর কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘদিন রোগে ভুগে জীবনের মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন চলচ্চিত্রের এই বরেণ্য অভিনেতা। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘অনেকদিন ধরেই অসুস্থ্থ ছিলেন বাবর ভাই। আমরা বেশ কয়েকবার তাকে দেখতে গিয়েছি। অনেক লড়াই করেছেন। আর পেরে উঠলেন না। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

সোমবার বাদ আসর এফডিসিতে জানাজা শেষে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাংরিন (পচন রোগ) সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গত ৯ জুন অপারেশন করে তার বাম পা অপসারণ করা হয়। এর আগে বাবরের বাঁ পায়ের তিনটি আঙুল গ্যাংরিন রোগে আক্রান্ত ছিল। গত ৩ মে চিকিৎসকের পরামর্শে আক্রান্ত আঙুলগুলো কেটে ফেলা হয়। ক্রমেই তার হাঁটুর নিচ পর্যন্ত আক্রান্ত হতে থাকে। চিকিৎসক তার পুরো শরীর বাঁচাতে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত কেটে ফেলার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন বাবর।

সম্প্রতি স্ট্রোক করলে বাবরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবারের যাত্রা ছিল তার শেষ যাত্রা। আর বাসায় ফেরা হয়নি। প্রসঙ্গত, আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘বাংলার মুখ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন বাবর। খল অভিনেতা হিসেবে বাবরের যাত্রা শুরু রাজ্জাক প্রযোজিত ও জহিরুল হক পরিচালিত ‘রংবাজ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। এরপর প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

প্রায় এক যুগ আগে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ‘তের গুন্ডা এক পান্ডা’ চলচ্চিত্রে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন তিনি। বাবর ‘দাগী’ নামের একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেছেন। এ ছাড়া পরিচালনা করেছেন ‘দয়াবান’ চলচ্চিত্র। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্রপাড়ায়।