আপডেট : ০১ July ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার বিকালে চীনের দালিয়ানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের আমন্ত্রণে এ সফরে গিয়ে তিনি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। এছাড়া বেইজিংয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংও প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৭২০) আজ বিকালে দালিয়ানের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। আগামীকাল মঙ্গলবার চীনের দালিয়ানে তিন দিনব্যাপী ‘ডব্লিইএফ অ্যানুয়াল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়ন্স-২০১৯’ শুরু হবে। সম্মেলনটি ডব্লিউইএফ সামার দাভোস নামেও পরিচিত। প্রধানমন্ত্রী ডব্লিউইএফ সামার দাভোস সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। তিনি দালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লস শোয়াবের কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং বিকালে ‘কো-অপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন। ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চীন সরকারের সরবরাহ করা একটি বিশেষ ভাড়া করা বিমানে স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় বেইজিংয়ের উদ্দেশে দালিয়ান ত্যাগ করবেন। এদিন বিকালে তিনি বেইজিংয়ের লিজেনডাল হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগ দেবেন। ৪ জুলাই সকালে শেখ হাসিনা স্বাগত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত এক ভোজসভায় অংশ নেবেন। একই দিন বিকালে সিসিপিআইটিতে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি বিজনেস গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। ৫ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রীর চায়নিজ থিংক ট্যাংক ‘পাঙ্গোয়াল ইনস্টিটিউশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। চীনের বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের শেখ হাসিনার সঙ্গে তার হোটেল স্যুটে দেখা করার কথা রয়েছে এবং এনপিসি’র চেয়ারম্যান লি ঝাংশুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিকালে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দিয়াওইয়ুতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় এক বৈঠকে মিলিত হবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে চীনা প্রেসিডেন্টের আয়োজিত একটি ভোজসভায় অংশ নেবেন। ৬ জুলাই সকালে তার দেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন জানান, এই সফরে চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে আটটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে। চুক্তিগুলো হচ্ছে- ১. ডিপিডিসি এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহের সম্প্রসারণ এবং শক্তিশালীকরণে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি। ২. গভর্নমেন্ট কনসেশনাল লোন এগ্রিমেন্ট অব এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেন্দেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিডিডিসি এরিয়া প্রজেক্ট। ৩. প্রেফারেন্সিয়াল বাইয়ার্স ক্রেডিট লোন এগ্রিমেন্ট অব এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেন্দেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া প্রজেক্ট। ৪. ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অব পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেন্দেনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি প্রজেক্ট। ৫. এগ্রিমেন্ট অন ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন বিটউইন দি গভার্নমেন্ট অব দি পিপল’স রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড গভর্নমেন্ট অব দি পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না। ৬. মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) অন দি এস্টাবলিশমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ। ৭. এমওইউ অ্যান্ড ইস ইমপ্লিমেন্টেশন প্ল্যান অন হাইড্রোলজিক্যাল ইনফরমেশন শেয়ারিং অব ইয়ালু জাংবো/ব্রহ্মপুত্র রিভার। ৮. সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং পর্যটনসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১