আপডেট : ২৮ June ২০১৯
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বহুল আলোচিত মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দেয়নি। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ২৬ আগস্ট এ হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন। ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শরীফ এ এম রেজা জাকের এ দিন ধার্য করেন। এ মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গতকাল দিন ধার্য ছিল। কিন্তু নতুন তদন্ত কর্মকর্তা অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার কুতুবুর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরো ৩০ দিন সময় বাড়ানোর আবেদন জানান। আদালত তা মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন। এর আগে আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ। আদালতে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান খান বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়ায় সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আদালত তা মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ধার্য করেছেন। ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। রায় ঘোষণার আগে তৎকালীন বিচারক হোসনে আরা আকতারকে বদলি করা হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটিতে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এ মামলার আসামিরা হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া। পাঁচ আসামির মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ ও লে. কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ছিলেন মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২ জুন তাকে পুলিশের হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২৭ জুন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলার অধিকতর তদন্তও করেন আবদুল কাহার আকন্দ। সম্প্রতি তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। এদিকে ১৯৯৫ সালের ১১ জুন কারাগারে থাকা এইচএম এরশাদকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে বর্তমানে এরশাদসহ আসামিরা সবাই জামিনে রয়েছেন। ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায় ঘোষণার আগে তৎকালীন বিচারক হোসনে আরা আকতারকে বদলি করা হয়। পরে মামলাটি বিচারের দায়িত্ব পান দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ হাসান মাহমুদ ফিরোজ। হাসান মাহমুদ ফিরোজের আগে গত ১৯ বছরে বিভিন্ন সময়ে ২২ জন বিচারক এ মামলাটিতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মঞ্জুর হত্যা মামলায় মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এরশাদ।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১