আপডেট : ২৭ June ২০১৯
ইকামত অর্থ দাঁড় করানো, প্রতিষ্ঠিত করা। শরিয়তের পরিভাষায় জামাত শুরু হওয়ার আগে আজানের শব্দ বা বাক্যসমেত নামাজ শুরু হওয়ার কথা ঘোষণা করাকেই ইকামত বলে। অর্থাৎ মুসল্লিদের জানিয়ে দেওয়া যে, জামাত শুরু হচ্ছে, সবাই দাঁড়িয়ে যান, কাতার সোজা করুন। ইকামতের বাক্যগুলো জোড়া জোড়া (দুবার করে) বলা সুন্নত, যা একাধিক সহিহ হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। একটি হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুর রহমান ইবনে আবি লাইলা (রহ.) বলেন, রাসুল (সা.)-এর কয়েকজন সাহাবি আমাকে সংবাদ দিয়েছেন, একবার হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ আনসারী (রা.) স্বপ্নে আজান দেখতে পান। ফলে তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গিয়ে এ সংবাদ দেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, তুমি এটা বেলাল (রা.)-কে শিখিয়ে দাও। তখন তিনি আজানের শব্দগুলো দুবার দুবার করে উচ্চারণ করলেন এবং ইকামতের শব্দগুলোও দুবার দুবার করে উচ্চারণ করলেন (তাহাবি শরিফ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগে ইকামতের শব্দগুলো একবার করে বলার বিধান ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা মানসূখ হয়ে গেছে। ওই নিয়মটি মানসূখ হওয়ার পর হজরত বেলাল (রা.) ইকামতের বাক্যগুলো দুবার করেই বলতেন। হজরত বেলাল (রা.) ইকামতের বাক্যগুলো দুবার করে বলতেন এটা বহু হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। এর থেকে বোঝা যায়, তিনি দুবার করে বলতেই আদিষ্ট হয়েছিলেন (তাহাবি শরিফ)। ইকামত শেষ হওয়ার পর যদি অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে পুনরায় ইকামত বলে নামাজ শুরু করতে হবে। আর যদি ইকামতের পর সামান্য সময় অতিবাহিত হয়, তাহলে পুনরায় ইকামত বলতে হবে না। বরং নামাজ শুরু করে দেবে। কিন্তু ইকামতের পরে নামাজ শুরু করতে বিলম্ব করা উচিত নয় (বেহেশতি জেওর)। নারী ও পুরুষের নামাজে অনেক ক্ষেত্রেই ভিন্নমত রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো, পুরুষের জন্য জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়া অপরিহার্য; কিন্তু নারীদের জামাত অপরিহার্য নয়। আর আজান ও ইকামত হলো জামাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিধান। এ ছাড়া আজানের জন্য উচ্চস্বর জরুরি, নারীদের আওয়াজ উচ্চ করা জায়েজ নয়। তাই তাদের আজান ও ইকামত বৈধ নয়। ইবন কুদামাহ বলেন, নারীরা আজান ও ইকামত দিলেও তা বিশুদ্ধ হবে না (মুগনি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৮)। লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১