স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পরিকল্পিত নগর উন্নয়ন নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তি সহজ করে।

আজ রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে কুমিল্লা জেলার লাকসাম পৌরসভা এবং চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্মার্ট ও নিরাপদ নগর বিষয়ক সম্ভ্যবতা বিষয়ক এক পাইলট প্রকল্পের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী ১৯৮৬ সালে তার প্রথম চীন সফর এবং বর্তমান চীনের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষত পরিকল্পিত নগর উন্নয়নে চীন অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। চীনের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আমাদের এ ব্যাপারে সহায়ক হতে পারে।

সমঝোতা স্মারকে লাকসাম পৌরসভার পক্ষে সই করেন লাকসাম পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের এবং চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক সেফটি রিচার্জের সহকারী ডীন ইয়াংসিয়া ল্যাং।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ হবে ১ বছর তবে উভয়পক্ষের লিখিত সম্মতিতে তা বাড়তে পারে। সমঝোতা স্মারক মোতাবেক সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পাবলিক সেফটি রিসার্চ সহযোগিতার সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করবে। কীভাবে লাকসাম পৌরসভায় ডিজিটাল সেবা প্রদান করা যায় এবং সমন্বিত কেন্দ্রীয় কমান্ড সিস্টেম চালু করা যায় তা নির্ণয় করবে।

সমঝোতা স্মারক মোতাবেক কর ব্যবস্থা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আধুনিকায়নসহ জনসাধারণের সেবার মান বৃদ্ধি করার উপায়সমূহ নিয়ে গবেষণা করা হবে।

সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক: মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে আজ সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেনস্টেইন বৈঠক করেছেন। সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশের উন্নয়নে সুইজারল্যান্ড অন্যতম অংশীদার। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তারা কাজ করছে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য সুইস কার্যক্রম সম্পর্কেও রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে অবহিত করেন।

রাষ্ট্রদূত জানান, তারা বাংলাদেশে কর ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করতে চায় এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী।

মন্ত্রী বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের অব্যাহত সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে ও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক: একই দিনে এলজিআরডি মন্ত্রী তার দপ্তরে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে ডেনমার্কের সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ মন্ত্রীকে অবহিত করেন।

রাষ্ট্রদূত জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর সাথে ৩৬টি মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে এবং সায়েদাবাদে আরেকটি পানি সরবরাহ প্লান্ট বাস্তবায়নে ডেনমার্ক সহযোগিত করছে। মন্ত্রী ডেনমার্কের অব্যাহত সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে  তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।