আপডেট : ২১ May ২০১৯
বিএনপির সিনিয়র নেতা মওদুদ আহমদ বলেছেন, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত বসিয়ে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিচারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে শিগগিরই চ্যালেঞ্জ করবেন তারা। তিনি বলেন, ‘আমরা গতকাল (সোমবার) কেরানীগঞ্জ কারাগারে গিয়েছিলাম, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আদালতে যে পরিবেশ থাকার প্রয়োজন, সে ধরনের কোনো পরিবেশ সেখানে নেই।’ এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আমরা মনে করছি, কেরানীগঞ্জে আদালত স্থাপন সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থী। এর মাধ্যমে সংবিধানে একজন নাগরিককে যে মৌলিক অধিকার দেয়া হয়েছে সেই অধিকারও লঙ্ঘন করা হবে। এজন্য আমরা খুব শিগগিরই কেরানীগঞ্জ কারাগারে আদালত স্থাপনের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করবো।’ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। গত ১৩ মে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৭ মামলার বিচারিক কার্যক্রম কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে চালানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সরকার। দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা দুর্নীতির একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন বিএনপি নেত্রী। তবে চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ১ এপ্রিল বিএসএমএমইউতে নেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ থেকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সরকার। ‘নির্জন ও পরিত্যক্ত কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে একাকী জীবনযাপন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাদের চেয়ারপার্সন। তার এই অসুস্থতার জন্য সরকার দায়ী। দেশের মানুষও মনে করে এ অবস্থার জন্য সরকার দায়ী,’ যোগ করেন তিনি। বিএনপি নেতা আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সবকিছু তারা করছেন। ‘কিন্তু সরকারের কূট কৌশলের কারণে আমরা সফল হতে পারছি না। কিন্তু তারপরেও আমাদের এই আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।’ রাজপথে আন্দোলনের জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মওদুদ বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ শেষ পর্যন্ত আন্দোলন ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি অর্জন করা সম্ভবপর হবে না। আমাদের আদালতে ও রাজপথে দুই জায়গায় লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’ মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রমুখ।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১