বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৮ May ২০১৯

পদ্মা সেতুতে এবার বসলো রেলওয়ে স্প্যান


এবার জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টে (নদীতীরে) দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু। ৩৮ মিটার দৈর্ঘ্যের রেলওয়ে স্প্যান বসানোর মাধ্যমে ভায়াডাক্টে সেতু দৃশ্যমান হলো।

গতকাল শুক্রবার জাজিরা প্রান্তে ২০ ও ২১ নম্বর পিলারে রেলওয়ে স্প্যান সফলভাবে বসানো সম্পন্ন হয়।

পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন জানান, রেলওয়ে স্প্যানের কাজ শুরুর ২৭ দিনের মাথায় বসানো হল রেলওয়ে স্প্যান। ভায়াডাক্টে জাজিরা প্রান্তে ২০ ও ২২ নম্বর পিলারে জে-৩ স্প্যানটি বসানো হয়।

তিনি আরো জানান, শনিবার (আজ) জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টে ২১ ও ২২ নম্বর পিলারে জে-৪ স্প্যানের গার্ডার বসানোর কাজ শুরু হবে। এই স্প্যানের ওপরে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর পর শুরু হবে রেললাইন বসানোর কাজ। পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্টে যেসব রেলওয়ে স্প্যান বসানো হচ্ছে তা বাংলাদেশে প্রথম। একটি একটি করে ৬টি আই গার্ডার পিলারে উঠানোর পর একটি স্প্যান পরিপূর্ণতা পায়। ক্রেনের সাহায্যে এসব রেলওয়ে স্প্যান পিলারের উচ্চতায় উঠানো হয়।

এদিকে গত ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে প্রায় ২৭ দিনের মাথায় জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টে ২০ ও ২১ নম্বর পিয়ারে জে-৩ স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়। এই স্প্যানে মোট ৬টি আই-গার্ডার রয়েছে।

প্রকৌশলীরা জানান, মাওয়া প্রান্তে ৭ টি ও জাজিরা প্রান্তে ৭টি করে এরকম মোট ১৪টি স্প্যান বসবে। যার মধ্যে থাকবে ৮৪টি আই-গার্ডার। প্রথম স্প্যানটি বসানোর জন্য একটু বেশি সময় লাগলেও পরবর্তী স্প্যানগুলো বসাতে এত সময় লাগবে না।

এদিকে সেতুতে রোডওয়ে স্ল্যাব ও রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হচ্ছে জোরেশোরে। এরই মধ্যে সেতুতে মোট ৩১২টি রেলওয়ে স্ল্যাব ও ১৬টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। আর বসানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২ হাজারটি রেলওয়ে স্ল্যাব ও ৮০০টি রোডওয়ে স্ল্যাব।

সেতুতে মোট ২৯৪টি পাইল ড্রাইভ করতে হবে। এ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে ২৩৫টি পাইল ড্রাইভ আর ৪২টি পিলারের মধ্যে ২৫টি পিলারের কাজ পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রকল্পের কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে মোট ১২টি স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) রয়েছে, যার মধ্যে ৭টি স্প্যান পিলারে বসানোর জন্য প্রস্তুত আছে।

পদ্মা সেতুর মূল অংশে একাদশ স্প্যান বসানোর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারে আরেকটি স্প্যান বসতে যাচ্ছে এ মাসেই। ৩বি স্প্যানটি কত তারিখে বসবে সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুতে বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর প্রায় চার মাস পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। এর দেড় মাস পর ১১ মার্চ জাজিরা প্রান্তে তৃতীয় স্প্যান বসানো হয়। এর ২ মাস পর ১৩ মে বসে চতুর্থ স্প্যান। এরপর এক মাস ১৬ দিনের মাথায় পঞ্চম স্প্যানটি বসে ২৯ জুন। ৬ মাস ২৫ দিনের মাথায় ২৩ জানুয়ারি বসে ষষ্ঠ স্প্যানটি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারে বসে জাজিরাপ্রান্তের সপ্তম স্প্যান। ২২ মার্চ বসে অষ্টম স্প্যান এবং মাওয়াপ্রান্তে গত ১০ এপ্রিল বসে নবম স্প্যান। জাজিরাপ্রান্তে মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে ২২ এপ্রিল স্থায়ীভাবে বসে দশম স্প্যান। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।

জাজিরাপ্রান্তে সেতুর ১৩৫০ মিটার ও মাওয়াপ্রান্তের একটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে মোট ৩০০ মিটার এবং সেতুর মাঝ বরাবর ৫-এফ স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে বসানো শেষ হওয়ায় সেতুর মোট ১৮০০ মিটার দৃশ্যমান হলো।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১