আপডেট : ১০ May ২০১৯
‘রোজা’ শব্দটি ফার্সি ও উর্দু ভাষায় ব্যবহার হয়। রোজার আরবি পরিভাষা হলো সাওম। ‘সাওম’ শব্দের অর্থ বিরত থাকা বা বিরত রাখা। মাহে রমজানুল মোবারকের সঙ্গে যে দুটো বিষয় সরাসরি সম্পর্কিত তার একটি হলো সেহরি, দ্বিতীয়টি হলো ইফতার। এখানে এ দুই বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো। সেহরি : ‘সেহরি’ আরবি শব্দ। অর্থ শেষ রাত, দিবসের পূর্ব মুহূর্তে, দিনের প্রথমাংশসহ ইত্যাদি। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় মাহে রমজানের রোজা রাখার নিয়তে শেষ রাত বা সুবেহ সাদিকের পূর্ব মুহূর্তের পানাহারকে সেহরি বলে। সেহরি খাওয়া সুন্নাত এবং উত্তম কাজ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘হে আমার উম্মতগণ! তোমরা সেহরি খাবে। কেননা সেহরির প্রতিটি লোকমার পরিবর্তে মহান আল্লাহ তায়ালা এক বছরের ইবাদতের সওয়াব দান করে থাকেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা ইহুদিদের বিপরীত কার্য কর। তারা সেহরি খায় না, যদিও তারা রোজা রাখে। আর যে ব্যক্তি সেহরি খেয়ে রোজা রাখে সে ইহুদিদের সংখ্যানুযায়ী সওয়াব পাবে। আর যারা সেহরি খায় না তাদের চরিত্র ইহুদিদের চরিত্রের মতো হবে।’ সেহরি খাওয়া হয় রোজা রাখার নিয়তে। সেহরির আরবি নিয়ত : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিনশাহরি রামাদানাল মুবারাকি ফারদাল লাকা ইয়া আল্লাহু ফা তাকাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আনতাস্ সামিউল আলিম। ইফতার : সারা দিন রোজা রাখার পর হালাল দ্রব্য দ্বারা নির্দিষ্ট সময়ে ইফতার করা খুবই সওয়াবের কাজ। এতে সওয়াব ছাড়াও রয়েছে কল্যাণ ও বরকত। এ সময় মহান মাবুদের দরবারে রোজাদার ব্যক্তির দোয়া-ফরিয়াদ কবুল হয়। হজরত রাসুলে মকবুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা ইফতারের সময় হওয়ামাত্র ইফতার করে নাও। এতটুকু বিলম্ব করো না, যেহেতু ইয়াহুদি ও নাসারাগণ বিলম্বে ইফতার করে থাকে।’ নিজে একাকী ইফতার করায় যেমন সওয়াব রয়েছে তেমনি অন্যদের ইফতার করানোতে আরো বেশি ফজিলত ও পুণ্য রয়েছে। এ বিষয়ে ইমাম বায়হাকী (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত নবী করীম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে এক রোজাদার ও গাজীর তুল্য সওয়াব অর্জন করবে।’ ইফতারের দোয়া : ‘আল্লাহুম্মা লাকা ছুমুত ওয়াবিকা আমানতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালুত ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহেমীন।’
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১