আপডেট : ৩০ April ২০১৯
মার্চ-এপ্রিল এই দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামীকাল ১ মে বুধবার থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব মাছ আহরণে নামবেন জেলেরা। ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় গত দুই মাস সরকার জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। এ সময় সব ধরনের মাছ আহরণ, মজুদ, কেনা-বেচা ও সরবরাহ নিষিদ্ধ ছিল। চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার নিবন্ধিত ৫১ হাজার ১৯০ জেলেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার বিকল্প কর্মসূচী হিসেবে জেলেদেরকে ফেব্রুয়ারি- মে পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে চাল প্রদান করেছেন। এছাড়াও জেলেদেরকে বিকল্প কর্মস্থান কর্মসূচীর আওতায় প্রশিক্ষণ প্রদান ও বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করেছেন। যাতে করে জেলেরা নিষেধাজ্ঞা সময়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারেন। চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের রামদাসদী এলাকার জেলে হাসান বেপারী, আনোয়ার হোসেন ও শাহজাহান গাজী জানান, জাটকা মাছ বেড়ে উঠার জন্য সরকার মাছ আহরণ করতে যে সময় নির্ধারণ করেছে, তা আমরা মেনে নদীতে মাছ আহরণ করতে নামেনি।কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু ও মৌসুমী জেলে জাটকা নিধন করেছে। পেশাদার জেলেরা অবসর সময় কাটিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষ এখন আমরা মাছ আহরণে নামবো। ইলিশ পাওয়া আর না পাওয়া ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল। চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাসুদুল হাসান বলেন, জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত ছিল। জেলা টাস্কফোর্সের সব সদস্য এবং গণমাধ্যমের সহযোগিতা ছিলো অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে। এখন থেকে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণে জেলেদের জন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে ১০ ইঞ্চি সাইজের নিচে জাটকা ইলিশ আহরণ সব সময়ই নিষিদ্ধ। এই আইন অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অভয়াশ্রমকালীন দুই মাস জেলা প্রশাসন, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ সকলেই সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। সবাই জাটকা রক্ষায় সহযোগিতা করেছেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১