বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ৩০ April ২০১৯

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রশ্নে কোন আপোষ নয়- প্রতিমন্ত্রী


বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারে কোন ধরনের আপোষ নয়। নিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের কোন ধরনের ছাড় প্রদান করা হবে না। বিমানবন্দরে কর্মরত সকল সংস্থার কর্মীদের এ কথা মনে রাখতে হবে যে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার সাথে দেশের ভাবমূর্তি জড়িত।

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান কাজ জনগণকে সেবা প্রদান করা। বিমানবন্দরে কোন যাত্রী যাতে কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরে কর্মরত সকল কর্মচারীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সততার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। বিমানবন্দরে কর্মরত কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী কোন প্রকার দুর্নীতির সাথে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

মাহবুব আলী বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশের সকল খাতে উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যেই শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সুপরিসর কার্গো এপ্রোন নির্মাণ,অত্যাধুনিক রাডার স্টেশন স্থাপন, যোগাযোগ যন্ত্রাবলীর আধুনিকায়ন এবং নিরাপত্তার জন্য অত্যাধুনিক নিরাপত্তা যন্ত্র সংস্থাপন করা হয়েছে। যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার জন্য চট্টগ্রাম শহর হতে বিমানবন্দর পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের আধুনিকায়নের জন্য রানওয়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি, প্যারালাল ট্যাক্সিওয়ে, টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের সম্প্রসারণ ও রানওয়ের ওভারলে বা শক্তি বৃদ্ধির প্রকল্প ইতিমধ্যেই হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের ফলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্যক্রম পূর্বের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কর্তৃক মোট ১৬ লক্ষ ৯৩ হাজার যাত্রী এবং ৭৯১৮ টন কার্গো এই বিমানবন্দর হতে পরিবহন করা হয়েছে।২০১৮ সালে যাত্রী সংখ্যা এবং মালামাল পরিবহন পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় যথাক্রমে ২.৮% ও ৭.৪% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ এবং যে কোন প্রকার দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার উইং কমান্ডার এ বি এম সারোয়ার-ই-জাহান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১