২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় চার হাজার ডলার ছাড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিরাজুল ইসলাম লেকচার থিয়েটার হলে এক অনুষ্ঠানে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

‘বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কৌশল’ শিরোনামের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ অর্থনীতি শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের দশম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।

অর্থনীতি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এমএ জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সহ-সভাপতি এজেডএম সালেহ, পিকেএস এফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীলুজ্জামান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ আয়ের দেশের নিম্নতম পর্যায়ে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হবে। আমাদের মাথাপিছু আয় বর্তমানে দুই হাজার ডলারের কাছাকাছি। ২০৪০ সালের মধ্যে তা চার হাজার ডলার ছাড়াবে।

মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে প্রবাসী ও শ্রমিকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এসব অর্জনের পেছনের নায়করা হচ্ছেন- কৃষিক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন তারা, বিদেশে তপ্ত মরুভূমিতে কাজ করে নিজে খেয়ে না খেয়ে যারা এদেশে প্রতিনিয়ত রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে সেসব শ্রমিক ও গার্মেন্টস সেক্টরে যারা বিরামহীন কাজ করছে সেসব মজুর।

এ সময় শ্রীলঙ্কা হামলার বিষয়ে এমএ মান্নান বলেন, আমাদের দেশেও কয়েক বছর আগে এরকম ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে কিছু উচ্চশিক্ষিত তরুণ যুক্ত ছিল। এই যে নিছক, নিষ্ঠুর, নিরপরাধ মানুষকে হত্যা সেটা কোনোমতেই কোনো বিচারেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

তরুণদের উদ্দেশে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, হতাশ হয়ে কোনো হঠকারী পথে যদি তোমরা এগোও তাতে নিজের ক্ষতি হবে, এই প্রিয় মাতৃভূমির ক্ষতি হবে। মাঠপর্যায়ে অনেক রক্ত ঝরবে, অনেক মহামূল্যবান সম্পদ নষ্ট হবে।