আপডেট : ০২ April ২০১৯
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম মাহবুবুল আলম বলেছেন, আমরা খালেদা জিয়াকে দেখেছি। তার সঙ্গে কথা বলে তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তিনি আমাদের সঙ্গে বসে থেকে কথা বলেছেন। চিকিৎসকদের মতে তিনি বলেন, তবে তার (খালেদা জিয়া) পায়ে ও জয়েন্টে ব্যথা আছে। তার ডায়াবেটিস স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, শরীর দুর্বল। তার ঘুম কম হয়, খাবারের রুচি কমে গেছে। তিনি একা হাঁটাচলা করতে পারছেন না, হাঁটার সময় আরেকজনের সাহায্য নিচ্ছেন। গতকাল সোমবার খালেদা জিয়াকে দেখার পর বিএসএমএমইউ’র পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম মাহাবুবুল আলম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন, পরিচালকের এমন বক্তব্যে সাংবাদিকরা জানতে চান, তাহলে তো খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু তাকে তো ভর্তি করা হয়েছে। জবাবে ব্রিগেডিয়ার আলম বলেন, খালেদা জিয়া যদি মনে করেন তিনি চলে যাবেন, কমফোর্ট ফিল করছেন না, তাহলে তিনি চলে যেতে পারেন। তিনি যদি থাকেন (হাসপাতালে) তাহলে প্রতিদিন একজন চিকিৎসক তাকে ভিজিট করবেন। উনি এখন ৬২১ নম্বর কেবিনে আছেন। আর তার সঙ্গে যারা রয়েছেন, তাদেরকে ৬২২ নম্বর কেবিনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিএসএমএমইউ’তে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হবে কিনা এমন প্রশ্নে পরিচালক বলেন, উনার এখন যে সমস্যা, তা কোনও জটিল সমস্যা না। বিএসএমএমইউ’তে চিকিৎসা সম্ভব না, এমন কিছু আমরা পাইনি। আমাদের বিশেষায়িত হাসপাতাল। খালেদা জিয়ার যা সমস্যা রয়েছে, তার চিকিৎসা করা এখানে সম্ভব। খালেদা জিয়ার চিকিৎসক বদলানো হবে কিনা সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে তিনি বলেন, আজকে আমরা তাকে যেভাবে দেখেছি, তাতে বর্তমান চিকিৎসক বোর্ডের প্রতি তার আস্থা রয়েছে। যখন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাকে দেখতে যান, তখন উনি বসে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আমাদের কাছে মনে হয়েছে, তিনি সন্তুষ্ট। আজকে তাকে চিকিৎসকরা ওষুধ দিয়েছেন। এখন তাকে এই ওষুধগুলো মেনে খেতে হবে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম মাহবুবুল আলম বলেন, গত ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের প্রধান হলেন ডা. জিলন মিঞা। বোর্ডের সদস্যরা হলেন ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. তানজিমা পারভিন, ডা. বদরুন্নেসা আহমেদ, ডা. চৌধুরী ইকবাল মাহামুদ। এছাড়া ডা. শামিম আহমেদ এবং ডা. মামুন মেডিক্যাল বোর্ডকে সহযোগিতা করছেন। ডা. মামুন কি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডা. মামুন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক না। তবে তাকে খালেদা জিয়া পছন্দ করেন। গতকাল সোমবার বেলা সোয়া ১২টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আনা হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ্ল ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। ওই রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। বিএসএমএমইউতে স্থানান্তরের আগে তিনি সেখানেই ছিলেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১