আপডেট : ২৪ March ২০১৯
এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবারও তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান নেন। সারা দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ১০ থেকে ১৫ হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও অজানা কারণে এখনো এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো অগ্রগতি নেই। তাই দাবি পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীই আমাদের একমাত্র অবলম্বন। শিক্ষকরা জানান, গত বছরের ৭ জুন সংসদে উপস্থাপিত বাজেটে এমপিওভুক্তির কোনো বরাদ্দ না থাকায় ১০ জুন থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন তারা। টানা ৩২ দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা অবস্থান ধর্মঘট ও আমরণ অনশন করেন। গত বছর ১১ জুলাই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনলাইনে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করে। তবে এই এক বছরেও তারা অজ্ঞাত কারণে এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। গত বৃহস্পতিবার সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে তারা প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরাও। শিক্ষকরা জানান, গত ২০ মার্চ থেকে সারা দেশের পাঁচ হাজারের বেশি নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এখানে অবস্থান করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সাড়া পাননি তারা। দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। গত শুক্রবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইনের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষক নেতারা। বৈঠকে সরকারের ওপর আস্থা রেখে শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন সচিব। জবাবে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ছাড়া শিক্ষকরা ঢাকা ছাড়বেন না বলে সচিবকে জানিয়ে দেন শিক্ষকরা। ২০০৬ সাল থেকে একই দাবিতে ৩০তম বারের মতো আন্দোলন করছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। তাদের দাবির মুখে ২০১০ সালে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হলেও বাদ রয়ে যায় আরো পাঁচ হাজার ২৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০ হাজারের মতো শিক্ষক ও কর্মচারী।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১