আপডেট : ২০ March ২০১৯
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সুলতানপুর বড় বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। এছাড়া বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের সাথে সাক্ষাত করেন এবং ঘটনার মামলা গ্রহণ পূর্বক সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক তাদেরকে গ্রেফতারের দাবী করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে আমিনুর যমুনা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বড় বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারী সাদিক মোবাইলের মাধ্যমে জরুরী কথা বলার নাম করে তাকে পশু হাসপাতালে আসতে বলেন। হাসপাতালে পৌছালে সাদিক তাকে বলে আপনি বড় বাজারে ভালো ব্যবসা করেন। অথচ আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন না। কোন টাকা পয়সা দেন না। আমরা আপনার কাছে ৫ লাখ টাকা ধার্য্য করেছি। আজকে যা পারেন দেন। বাকিটা কাল সাইফুলের (২ নং আসামীর) কাছে দেবেন। তাছাড়া এসপি. ওসির কাছে মামলা করে লাভ হবে না। কারণ আমার চাচা এমপি আর আমিও বড় নেতা। এক পর্যায়ে বাদির ডাক চিৎকারে পথচারী লোকজন স্বাক্ষী এবং পুলিশ বাদিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি এজাহার পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিক জানান, আমি কারোর কাছ থেকে চাঁদ নেয়নি। আমিনুর যে অভিযোগ দিয়েছে সেটি মিথ্যা। সে একজন মাদক ব্যাবসায়ি বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকালে সাতক্ষীরা শহরে ‘মাদককে না বলুন, সন্ত্রাস মুক্ত বাংলাদেশ গড়ুন’ এই সেøাগানে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী বিক্ষোভ ও পথসভা করে জেলা ছাত্রলীগ। সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজাসহ জেলা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীরা। এসময় সাতক্ষীরার মাদক ও চোরাচালানী বড়বাজারের আমিনুর ও তার ছোটভাই মতিনুরের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানায় জেলা ছাত্রলীগ।
আমিনুর রহমান উত্তরে বলেন, আমি বৈধভাবে ব্যবসা করি এবং নিজেও আওয়ামী লীগের একজন পদধারী ব্যক্তি। সুতারাং কোন চাঁদা দিতে পারবো না। আর এভাবে চাঁদাবাজি করে দলের ভাবমূতি ক্ষতি করো না। একথা বলার সাথে সাথে আসামীদ্বয় বাদির সাথে তুইতোকারি করা শুরু করে। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমিনুরকে মারপিট করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
এ সময় আসামীরা আমিনুর রহমানের কাছে থাকা ব্যাংক থেকে উঠানো দুই লক্ষ টাকা কেড়ে নেয় এবং আরও তিন লাখ টাকা কালকের মধ্যে দিতে হবে বলে জানান দেয়। আসামীরা আরো বলে, এ নিয়ে থানা কোট কাছারি করলে তোর গুষ্ঠি শুদ্ধ শেষ করে দেব।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১