আপডেট : ১০ March ২০১৯
ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন পাঁচটি দফতর এবং ৬৪টি জেলায় কর্মরত ১৭ হাজার ২০৮ কর্মচারী সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেছেন। গতকাল শনিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সংস্থায় মোট তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৫৭৬ জন। বিভাগীয় মামলায় সাময়িক বরখাস্ত এবং দীর্ঘমেয়াদি ছুটিতে থাকায় ৩৬৮ কর্মচারী সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে পারেননি। গত ১৭ জানুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সব দফতরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করে ভূমি মন্ত্রণালয়। গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্জিত সম্পদ নির্ধারিত ছকে নিজ নিজ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দেওয়ার কথা ছিল। এরপরই সম্পদের হিসাব জমা দেন কর্মচারীরা। কর্মচারীদের সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়ার বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এত দ্রুত সময়ে কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব গ্রহণ তার একটি প্রমাণ। এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সম্পদ বিবরণী দাখিলের ফলে অনিয়ম-দুর্নীতি করতে সবাই নিরুৎসাহিত হবেন। মন্ত্রী আরো জানান, এখন থেকে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের কর্মসূচি চলমান থাকবে। নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভূমি অফিস দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হবে। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান জানান, গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ এবং জনবান্ধব ভূমি সেবা প্রদানের অন্যতম কৌশল হিসেবে ভূমিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছিলেন। মন্ত্রী বলেছিলেন, আমি অনিয়ম-দুর্নীতি পছন্দ করি না। কোনো বদনামের অংশীদার হতে চাই না। সরকার অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স। পরবর্তীতে সম্পদের হিসাব গ্রহণের কার্যক্রম ভূমিমন্ত্রীর প্রথম ৯০ দিনের নয় কার্যক্রমের অন্যতম অংশ করা হয়। বাকিগুলো হলো- জরুরি সেবা প্রদানের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে হটলাইন স্থাপন, দেশব্যাপী ভূমিসেবা সপ্তাহ পালন এবং ভূমি কর মেলা উদ্যাপন, ‘অনলাইনে খতিয়ান’ সেবা চালুকরণ, ই-নামজারি কার্যক্রম পুরোদমে চালু করা, সেবাদাতাদের দক্ষ করতে ওয়ার্কশপ আয়োজন, দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অবহিতকরণ কার্যক্রম, ভূমি অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্মসূচি, অন্যান্য ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করা। মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পুরো পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা তিন মেয়াদে সাজিয়েছেন। মেয়াদের প্রথম দেড় বছর ‘স্বল্পমেয়াদি’, পরবর্তী দেড় বছর ‘মধ্যমমেয়াদি’ এবং শেষ দুই বছর ‘দীর্ঘমেয়াদি’ পরিকল্পনা।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১