বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৮ March ২০১৯

সাঁথিয়ায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা, দাম নিয়ে চিন্তায় কৃষকরা

সাঁথিয়া উপজেলার গৌরিগ্রাম ইউনিয়নের ঘুঘুদহ মাঠ থেকে তোলা ছবি ছবি : বাংলাদেশের খবর


পাবনার সাঁথিয়ায় এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে এলাকার কৃষকেরা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

পাবনা জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রায় ৭০ ভাগ পেঁয়াজের চাহিদা পুরণে সক্ষম পাবনা জেলার ৯ টি উপজেলায় এ বছরে মুলকাটা ও চারা পেঁয়াজ মিলে ৪৯ হাজার ৩ শ’ ১৫হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সাঁথিয়া উপজেলাতেই ১৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমি আবাদ হয়েছে।

এলাকার বিভিন্ন হাট বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ বছর মুল কাটা পেঁয়াজের বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ মণ। মুলকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও দাম কম হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।উপজেলার পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় হাট সিএন্ডবি চতুর হাট ও বোয়ালমারী হাটে গিয়ে দেখা যায়, মুলকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৪০০ থেকে সর্বোচ্চ ৬৫০ টাকায়। ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচই উঠছে না। তারা জানায়, মুলকাটা পেঁয়াজের দাম এত নিচে নামবে তা কখনও ভাবিনি। কমপক্ষে ১ হাজার টাকায় বিক্রি করলে কিছু লাভ থাকতো, জানান পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা কৃষকরা।

বিভিন্ন এলাকার পেঁয়াজের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ শুধু পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ। কয়েকদিন আগে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় একে পেঁয়াজের জন্য মধু হিসাবে গণ্য করছে কৃষকেরা। এখন দানা মোটা হওয়ার সময় বলে বৃষ্টি খুবই উপকারে আসবে তাদের। গত বছরও ঠিক এই সময়টাতে বৃষ্টি হওয়ায় উৎপাদন বেশী হয়েছিল। অন্যদিকে মোটা দানার পেঁয়াজের আবাদে খরচ যেমন বেশী তেমনী ফলনও বেশী। সঠিক দাম না পেলে এখানেও লোকসান গুনতে হবে কৃষকদের।

কৃষকেরা জানায়, গত ২ বছর ধরে পেঁয়াজের লোকসান গুনছি। এখন দুঃচিন্তায় আছি যদি চারা পেঁয়াজের দাম এ রকমই থেকে যায় তবে এ বছরও চরম লোকসানে পড়ে যাবে। তবে এবার সে খরচ পুষিয়ে নিতে পেঁয়াজের ন্যায্য দাম আশা করছে এলাকার কৃষকেরা ।সাঁথিয়া উপজেলার ঘুঘুদহ গ্রামের আব্দুল কদ্দুস মেম্বর জানান, মুল কাটা পেঁয়াজের খুবই ভাল ফলন হয়েছে। চারা পেঁয়াজেরও ভাল ফলন হবে আশা করছি। তবে বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের যে দাম চলছে তাতে খরচই উঠবে না। 

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজহার আলী জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর মুলকাটা পেঁয়াজের মতই মোটা বা চারা পেঁয়াজেরও বাম্পার ফলন হবে। এ বছর মুলকাটা পেঁয়াজের দাম কম থাকায় উৎপাদন খরচ উঠলেও লাভবান হতে পারছেন না কৃষক। সরকার যদি অন্যান্য ফসলের মত পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেন এবং তাতে কৃষকেরা যদি ন্যায্য মূল্য পান তবে তারা তারা লাভবান হতে পারবেন।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১