আপডেট : ০৩ March ২০১৯
সড়কের বিলবোর্ড, বাড়ির দেয়াল, টেলিভশন, ইন্টারনেট, খবরের কাগজ- সব জায়গায়ই বিজ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপন। মানুষের মনে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করতে বিজ্ঞাপনদাতাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। নানা ধরনের বিজ্ঞাপন তৈরির পাশাপাশি ভোক্তার মন নিয়েও গবেষণা করেন বিজ্ঞাপনদাতারা। সাধারণত পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকের মনে কেমন প্রতিক্রিয়া হয় সেসব বিষয়ই এতদিন খোঁজার চেষ্টা করতেন বিজ্ঞাপনদাতারা। তবে এবার গ্রাহকের মন নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন বিজ্ঞাপন নির্মাতারাও। লাখ লাখ বিজ্ঞাপনের ভিড়ে কোনটি দেখে কার মনের অবস্থা কেমন হয় সেটিও পর্যবেক্ষণ করা শুরু হয়েছে। আর এজন্য বিলবোর্ডে বসানো হচ্ছে ক্যামেরা। সেখান থেকে তোলা হচ্ছে মানুষের ছবি। এর লক্ষ্য হচ্ছে কোনো বিজ্ঞাপন দেখে যদি গ্রাহকের মেজাজ খারাপ হয় তাহলে তার মেজাজ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন নির্মাণ করবে নির্মাতা। আর তাদের সব ধরনের সহায়তা দেবে বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলো। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী কোকাকোলা ও এইচএসবিসির মতো বড় কোম্পানিগুলো। প্রাথমিকভাবে ডিজিটাল বিলবোর্ডে ক্যামেরা বসানো শুরু করেছে ওয়েস্টফিল্ড শপিং মল। বিলবোর্ডভিত্তিক বিপণনকে আরো কার্যকর করতে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে একটি বিজ্ঞাপন দেখে মানুষের আগ্রহ জন্মে নাকি বিরক্তি তা সহজে নিরূপণ করা যাবে। ফরাসি সফটওয়্যার ফার্ম কুইভিডি ২০১৫ সালে এমন একটি সিস্টেম উন্নয়ন করেছে যেটি শপিং মলে বসানো ক্যামেরাগুলোকে কাজে লাগিয়ে সেখানে আসা সব মানুষের লিঙ্গ, বয়স এবং অভিব্যক্তি রেকর্ড করতে পারে। আর এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিলবোর্ডের পাশে ক্যামেরা রেখে সেখান থেকে এ ধরনের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। ক্যামেরাগুলো শপিং করতে আসা মানুষের অস্পষ্ট ছবি তোলে। যেটি ব্যবহার করে একজন মানুষকে চিহ্নিত করা কষ্টসাধ্য। তবে তাদের সফটওয়্যার সেসব ছবি থেকে লিঙ্গ, বয়স ও মুখমণ্ডলের অভিব্যক্তি সঠিকভাবে নিরূপণ করতে পারে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড জুড়ে প্রায় ১৬০০ স্থানে এ ধরনের বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এ ধরনের প্রযুক্তির ক্ষতিকারক দিক নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে মানুষের প্রাইভেসি মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে। তবে ওয়েস্টফিল্ডের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তারা ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে না। বরং তারা ব্যবহার করছে ফেসিয়াল ডিটেকশন পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায় না, কেবল তার অস্পষ্ট ছবি থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়। বাজারে এ ধরনের তথ্যের ব্যাপক চাহিদা আছে বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি। কোকাকোলা, সেভেন ইলেভেন, এইচএসবিসিসহ অনেক বড় কোম্পানি অমনোযোগী পথচারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে নানা পন্থা বের করছে। মানুষের মুডের তথ্য তাদের নতুন ধরনের ক্যাম্পেইন তৈরি করতে সহায়তা করবে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১