আপডেট : ০২ March ২০১৯
জিততে হলে করতে হবে ১৮২ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লক্ষ্যটা বেশ কঠিনই। ৬৫ রানে ৫ উইকেট পতনের পর এমন লক্ষ্য স্পর্শ করতে পারবে শেখ জামাল, তা ভাবেনি কেউ। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টো। আর তা একমাত্র জিয়ার ব্যাটিং তাণ্ডবে। সঙ্গে ছিলেন নূরুল হাসান সোহান। দুজনের ব্যাটে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টির ফাইনালে নাম লিখিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সেমিতে শাইনপুকুরকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে জামাল শিবির। প্রথম ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৮১ রান করে শাইনপুকুর। জবাবে ৫ উইকেট, ১৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে শেখ জামাল। টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভালো ছিল না শেখ জামালের। ৩.৩ তিন ওভারে ২৯ রান তোলার পর আউট হন ইমতিয়াজ হোসেন। ১১ রান করে রানআউটের শিকার তিনি। ইমতিয়াজ ফেরার পরই যেন ছন্দ হারায় দল। পাঁচ রানের ব্যবধানে ফেরেন ফারদিন হাসান। তিনি করেন ২২ রান। ১৩ রান করে ফেরেন হাসানুজ্জামান। ভালো করতে পারেননি নাসির হোসেনও। তিনি করেন ১৬ রান। তানভীর হায়দার আউট হন হিসাবের খাতা খোলার আগেই। ৬৫ রানে পাঁচ উইকেট খুইয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যাওয়ার অবস্থায় গিয়ে ঠেকে শেখ জামাল। সেই প্রতিকূল স্রোতে দাঁড়িয়ে চেষ্টা শুরু করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও জিয়াউর রহমান। দুজনের মধ্যে বেশি আগ্রাসী ছিলেন জিয়াউরই। উইকেটের চারদিকে বল সীমানা ছাড়া করতে থাকেন তিনি। ২৯ বলে ৭২ রানের অপরাজিত থাকার পাশাপাশি দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জিয়া। চারটি চারের সঙ্গে সাতটি বিশাল ছক্কায় সাজানো তার ইনিংস। জিয়াকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন সোহান। ৩১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক। ১১৭ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন সোহান-জিয়া। শাইনপুকুরের হয়ে সোহরাওয়ার্দী শুভ দুটি, টিপু সুলতান ও দেলোয়ার হোসেন একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শাইনপুকুর। স্কোর বোর্ডে কোনো রান জমা হওয়ার আগে আউট হন মোহাম্মদ রাকিব। সালাহউদ্দিন শাকিলের বলে ক্যাচ নেন ইমতিয়াজ হোসেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১১৩ রান তুলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান সাব্বির ও আফিফ। ৩২ বলে দুই চার ও তিন ছক্কায় ৪৭ রান করে ইলিয়াস সানির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সাব্বির হোসেন। তবে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন আফিফ হোসেন। ৪১ বলে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৬৫ রান করে শাইনপুকুর অধিনায়ক। দুই সেট ব্যাটসম্যান অল্প ব্যবধানে ফেরার পর ৫৭ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়েন তৌহিদ হূদয় ও শুভাগত হোম। ১৭ বলে ২৪ রান করেন হূদয়। আর আগের দুই ম্যাচে ১০ বলে ৩২ ও ১৮ বলে ৫৮ রান করা হোম এই ম্যাচে করেন ১৭ বলে ৩১। সমান দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি। শেষের ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাট চালাতে না পারায় আর দুইশ করা হয়নি শাইনপুকুরের। শেষ পর্যন্ত তাদের স্কোর থামে ৭ উইকেটে ১৮১ রানে। ২৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে শেখ জামালের সেরা বোলার সালাহদ্দিন শাকিল। এছাড়া শহিদুল ইসলাম দুটি ও ইলিয়াস সানি নেন একটি উইকেট।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১