বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৫ February ২০১৯

বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে শুরু হলো বিজ্ঞান মেলা

বিসিএসআইআরএ’র ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে মেলার উদ্বোধন করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ছবি : সংগৃহীত


বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) আয়োজনে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও শিল্প প্রযুক্তি মেলা। গতকাল বিসিএসআইআরএ’র ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে মেলার উদ্বোধন করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

মেলায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, প্রসেস লিজসহ ৭৮টির অধিক প্রতিষ্ঠান তাদের প্রকল্প, উদ্ভাবিত প্রযুক্তি, গবেষণা ও পণ্য প্রদর্শন করছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং পর্যাপ্ত ফান্ড দিচ্ছেন। আধুনিক গবেষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বমানের গবেষণা ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটছে। বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছেলেমেয়েরা বিশ্বময় বিচরণ করছে। তাদের জ্ঞান, প্রতিভা সর্বময় কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শিশুদের জন্য আমরা আমাদের উৎসর্গ করছি। আমাদের অসমাপ্ত কাজ পরবর্তী প্রজন্মকে দিয়ে যেতে হবে। সর্বক্ষেত্রে আদর্শ মানুষ হয়ে আমাদের অপূর্ণতাকে তারাই পূর্ণ করবে।

দেশের উন্নয়নে জন্য মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি টেকসই প্রযুক্তি এবং জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণায় গুরুত্বারোপ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানীদের এখন তাদের কর্মের গতি বাড়াতে হবে। অন্যথায় সরে গিয়ে নতুনদের জন্য জায়গা করে দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভিশন ২০২১, ২০৪১ এবং ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আজকের এ ক্ষুদে গবেষকরা গবেষণার মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়ন ঘটিয়ে এক দিন বাংলাদেশকে প্রযুক্তির শীর্ষে পৌঁছে দেবে।

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, এখন গবেষণার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যা পূর্বে ছিল না। আমাদের প্রয়োজন গবেষকদের উৎসাহ ও প্রেরণা দেওয়া। ক্ষুদে গবেষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের অনেক বিখ্যাত গবেষক প্রয়োজন। এ দেশে অনেক অব্যবহূত সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে আছে সিলিকা-সেন্ট, ইউরেনিয়াম প্রভৃতি। এসব লুকায়িত মূল্যবান সম্পদ আহরণ করে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমেদ বলেন, আমাদের দায়িত্ববোধ থেকেই প্রতিবছর এ মেলার আয়োজন করছি। এ ধরনের মেলার মাধ্যমে আমরা একদিন বাংলার নিউটন আইনস্টাইনকে খুঁজে পাব যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

মেলায় তিনটি স্তরে ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি এবং স্ব-শিক্ষিত উদ্ভাবক/বিজ্ঞান ক্লাবসহ বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিসিএসআইআরের প্রসেস নিয়ে গড়ে ওঠা স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ৭৮টির অধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।

ঢাকার বিভিন্ন স্বনামধন্য স্কুল-কলেজসহ ঢাকার বাইরের প্রসিদ্ধ স্কুল কলেজসমূহ এ মেলায় অংশগ্রহণ করছে। তিনটি ক্যাটাগরিতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জন করা মোট নয়টি দলকে মেলায় পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়া অংশগ্রহকারী সকলকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।

তিন দিনের এ মেলা শেষ হবে আগামীকাল শনিবার। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১