আপডেট : ১৫ February ২০১৯
১৪৪ ধারা জারিকে কেন্দ্র করে ভাষা আন্দোলনের যে সঙ্কট তৈরি হয়েছিল, তা গুরুতর করেছিল মওলানা ভাসানীর অনুপস্থিতি। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের যে মিটিং হয়েছিল, সেখানে মওলানা ভাসানী উপস্থিত থাকলে হয়তো পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত। অন্তত ছাত্ররা তেমনই মনে করেছিল। অথচ ভাসানী এত বড় একটা কর্মসূচিকে গুরুত্ব না দিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়েন। ছাত্র-যুবরা মনে করে, ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পরিষদের সভায় ভাসানীর উপস্থিতি ১৪৪ ধারা সম্পর্কিত সিদ্ধান্তকে ভিন্ন মাত্রায় ঢেলে সাজাতে পারত। হয়তো পরাজিত হতো আবুল হাশিম ও তার সহযোগীদের আপসবাদী ফর্মুলা। এমনকি সংগ্রামী ছাত্র সমাজের টানে ভাসানীর নেতৃত্বেই ঢাকার রাজপথ স্পন্দিত হতো। আন্দোলন দ্রুতগতিতে দেশব্যাপী ছড়িয়ে যেতে পারত। কিন্তু ভাষা আন্দোলনে ভাসানীর সেই সম্ভাব্য ভূমিকা কয়েকটি বিবৃতির মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ ছিল। এই ঐতিহাসিক ব্যর্থতার দায় ভাসানী এড়াতে পারেন না বলে মনে করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই পরিস্থিতি ব্যাখ্যায় স্বভাবতই মনে হতে পারে, সে সময় বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্ব, এমনকি মাওলানা ভাসানীও ভাষা আন্দোলনকে রাজনৈতিক স্রোতে টেনে আনতে চাননি। ছাত্র-যুব সমাজের হাতেই এর পরিণতি দেখতে চেয়েছিলেন। এটা ছিল তাদের রাজনৈতিক কৌশল। যে কৌশল আপামর বাংলাভাষীদের পক্ষে ছিল না।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১