আপডেট : ০৭ February ২০১৯
বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারের পর সেখানে বনায়ন করা হবে। পাশাপাশি এসব নদীর তীরে ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া তিনটি ইকোপার্কও করা হবে। এ লক্ষ্যে ৮৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও অনুমোদন করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে দুই বছর। ইতোমধ্যে এই কাজ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক বাংলাদেশের খবরকে বলেন, চারটি নদীর তীর উচ্ছেদ করে এখানে বনায়নসহ ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক ও সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া তিনটি ইকোপার্ক, ১০ হাজার নদী রক্ষা পিলার ও ২০টি জেটি নির্মাণ হবে করা হবে। দুই বছরের মধ্যে এসব স্থাপনা গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৮৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নদীর তীর উদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারে অনির্দিষ্টকালীন উচ্ছেদ অভিযান চলবে। এটা অব্যাহত থাকবে। কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলেও কোনো কাজ হবে না। গতকাল বুধবার বুড়িগঙ্গার তীর উদ্ধারে দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিওটিএ। সকাল ১০টার দিকে কামরাঙ্গীর চরের কয়লাঘাট এলাকায় ও ইসলামবাগ এলাকায় অভিযান শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনের অভিযানে মোট ২৫২টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। এর মধ্যে ৩ তলা ভবন ৪টি, দুই তলা ৫টি ও এক তলা ১০টি ভবন রয়েছে। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ। অভিযান পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীর উদ্ধারের পর সেখানে বনায়ন করা হবে। পাশাপাশি তৈরি করা হবে ওয়াকওয়ে ও ইকোপার্ক। ইতোমধ্যে ৮৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে দুই বছর। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঢাকার চারপাশের নদী দখল ও দূষণ প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় দিনে আড়াই শতাধিক স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে সাড়ে চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তৃতীয় দফা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে, চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর পর চতুর্থ দফায় শুরু হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। এর পর তুরাগ নদীর দুই পারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। বুড়িগঙ্গার তীর রক্ষায় গত ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এই অভিযান শুরু হয়। প্রথম দফা উচ্ছেদ অভিযান চলে-৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই অভিযানে বড় ছোট মিলে মোট ৪৪৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। জরিমানা করা হয় ৮০ হাজার টাকা। ধাপে ধাপে এই অভিযান চালানো হবে। এই উচ্ছেদ অভিযানে বুড়িগঙ্গা নদীর সীমানা পিলারের অভ্যন্তরে অর্থাৎ নদীর দুই পাড়ে যত বড় ভবনই হউক গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। অভিযানে ৫৬টি বহুতল ভবনসহ প্রায় ৬০০ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে। আগামী ১২, ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি তিন দিন চলবে তৃতীয় দফার অভিযান। এরপর ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি চলবে চতুর্থ দফা। এই সময়ের মধ্যে পুরোপুরি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না গেলে পরবর্তীতে সময় আরো বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১