বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ৩০ January ২০১৯

লক্ষ্যের চেয়ে ৯৭ লাখ কেজি চা বেশি উৎপাদন

দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের রেকর্ড

শ্রীমঙ্গলের একটি চা বাগান থেকে পাতা সংগ্রহ করছেন শ্রমিকরা ছবি : বাংলাদেশের খবর


দেশে সদ্য সমাপ্ত চা উৎপাদন মৌসুমে (২০১৮) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবার চা শিল্পের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত চা উৎপাদন মৌসুমে দেশে চা উৎপাদন হয়েছে ৮২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন কেজি। এর আগে ২০১৬ সালে সব রেকর্ড ভেঙে দেশের চা শিল্পের ১৬২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ চা উৎপাদন হয়েছিল ৮৫ দশমিক ০৫ মিলিয়ন কেজি। বাংলাদেশ চা বোর্ড এবার ৭২ দশমিক ৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। তবে বছর শেষে অর্থাৎ গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত চা উৎপাদন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৭ লাখ কেজি চা বেশি উৎপাদন হয়েছে।

চা বোর্ড সূত্র জানায়, অনুকূল আবহাওয়া ও পরিবেশ, প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত, সঠিক ও সুষম তাপমাত্রা, রেড স্পাইডারসহ পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকা ও খরার কবলে না পড়ার কারণে এবার দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চা উৎপাদন হয়েছে।

চা বোর্ড সূত্র আরো জানায়, অনুকূল আবহাওয়া ছাড়াও চা জমির সম্প্রসারণ, আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদির পর্যাপ্ততা, সময়মতো সার ও কীটনাশক প্রাপ্তি, ক্লোন চা গাছের ব্যবহার বৃদ্ধি ও সর্বোপরি চা বোর্ডের নজরদারির কারণে এবার দেশে এই চা উৎপাদন হয়েছে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক (পঞ্চগড়) ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন জানান, উত্তরবঙ্গে ২০১৮ সালে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, দিনাজপুর ও লালমহিরহাট জেলায় চা আবাদি এলাকায় মোট চা উৎপাদন হয়েছে ৮৪.৬৭ লাখ কেজি। এখানে মোট চা আবাদি জমির পরিমাণ ৭৬৪৫ একর। নিবন্ধিত চা বাগান ৮টি। চা চাষির সংখ্যা প্রায় ৪০০০ জন। নিবন্ধিত চা চাষি ৯৬৭ জন। চলমান চা কারখানা ১৩টি।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১