তুরস্কের ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশন ফর সায়েন্স অ্যান্ড কালচার এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠিত দুইদিনব্যাপি আন্তর্জাতিক সেমিনার শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এই সেমিনারের সমাপ্তি হয়।

জানা যায়, 'বিশ্বশান্তি ও সম্প্রীতি : দ্য রিসালা-ই নূর বিষয়ক' দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনারের সমাপনি দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী।

তিনি বলেন, ইসলামে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। ইসলামে কোনো জঙ্গীবাদ নেই। পরস্পরের প্রতি এ ধরনের বিদ্বেষ থেকে সরে আসতে আমাদের সব বিভেদ দূর করতে হবে। বিশ্বের ১.৮ বিলিয়ন মুসলমানকে অন্তর্ভূক্ত না করলে বিশ্বশান্তি প্রক্রিয়া অর্থবহ হবে না।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আফম আকবার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহা-পরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, ইরাকের প্রতিনিধি রিসালায়ে নূর’র অনুবাদক ইহসান কাসিম সালেহী, তুরস্কের উস্কুদার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আলপার্সলান আছিজেন ও ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম ইশারিত আলী মোল্লা। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন তুরস্কের ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশন ফর সায়েন্স এন্ড কালচারের সচিব আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জর্ডানের প্রতিনিধি ড. মামুন ফারিজ মাহমুদ জ্যাররার, ইরাকের প্রতিনিধি রিসালায়ে নূর’র অনুবাদক ইহসান কাসিম সালেহী, সৌদি আরবের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. হারুন প্রিমি, আরব আমিরাতের শারজাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক শাইখ আব্দুস সালাম সাঈদ করীম, তুরস্কের প্রতিনিধি সাঈদ উজ্যাদালী ও ভারতের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি স্কলার জুবাইর হামিদ।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্ট্যাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন আজহারী ও ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন জাহিদ। দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ভারত, তুরস্ক, জর্ডান, সৌদিআরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশসহ মোট ৮টি দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছেন। এ সেমিনারের পৃথক পৃথক ৮টি সেশনে ৭১টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। তার মধ্যে ইংরেজি প্রবন্ধ ছিল ৩৮টি এবং আরবি প্রবন্ধ ছিল ৩৩টি। এছাড়াও বিদেশী প্রবন্ধকার ও বিশেষজ্ঞদের প্রবন্ধ ছিল ১০টি এবং দেশীয় প্রবন্ধকারদের প্রবন্ধ ছিল ৬১টি। সমাপনী দিনে ক্যাম্পাসের পৃথক পৃথক স্থানে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উপস্থিত হন উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী।