আপডেট : ২৮ January ২০১৯
ডাটা প্রাইভেসি ডে বা তথ্য সুরক্ষা দিবস আজ। প্রতিবছর এই দিবসটি উপলক্ষে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পরিচালিত হয়। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যালায়েন্সের (এনসিএসএ) নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক এই ক্যাম্পেইনের অফিসিয়াল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশে সাইবার সচেতনতা নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের চ্যাপ্টারগুলোতে নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে সাইবার সচেতনতাকর্মীরা। যেভাবে এলো তথ্য সুরক্ষা দিবস ১৯৮১ সালে ইউরোপিয়ান সংগঠন কাউন্সিল অব ইউরোপে কনভেনশন ১০৮ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিশ্বে প্রথম ডাটা প্রাইভেসি ডে বা তথ্য সুরক্ষা দিবস উদযাপন শুরু হয়। ‘কনভেনশন ১০৮’ গোপনীয়তা ও তথ্য সুরক্ষা নিয়ে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা প্রতিপালনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অবিরাম তথ্যপ্রবাহ তৈরি করছি। সরকারি হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাত কোটির বেশি। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় তিন কোটি, যা ২০২০ সাল নাগাদ পাঁচ কোটিতে উন্নীত হবে। এখনো খুব কম মানুষই জানে যে তাদের ব্যবহূত ডিভাইস ও অনলাইন সেবা থেকে অসংখ্য ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তা শেয়ার করা হচ্ছে। অনেক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানই এসব তথ্যের অপব্যবহার করে থাকে। আইনগত বিষয় শক্তিশালী আইনের অনুপস্থিতিতে দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবহারকারী ও ক্রেতাদের ব্যক্তিগত আচরণ পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাচ্ছে এবং ভোক্তাদের এসব তথ্য তারা লাভের জন্য বিক্রি করে দিচ্ছে। ভোক্তাদের বোঝা প্রয়োজন যে, তাদের তথ্যের সঠিক মূল্য আসলে কতটা এবং কীভাবে এই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তা শেয়ার করা হচ্ছে। এছাড়া তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের ভালোভাবে ব্যবস্থাপনা করা জানতে হবে। বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৩ (খ) নম্বর অনুচ্ছেদে প্রাইভেসি রাইটস বা ব্যক্তির তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তা মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃত। একই সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারায় অনুমতি ছাড়া কারো ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণা (অনুচ্ছেদ ১২) নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সনদ (অনুচ্ছেদ ১৭), জাতিসংঘের কনভেনশন অন মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স (অনুচ্ছেদ ১৪) এবং শিশু অধিকার সনদে (অনুচ্ছেদ ১৬) প্রাইভেসিকে অধিকার হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১