আপডেট : ২৭ January ২০১৯
ইসলামের দৃষ্টিতে নিয়ত একটি স্বতন্ত্র ও উত্তম ইবাদত। যে কোনো কাজ করতে হলে নিয়তের প্রয়োজন হয়। যেমন— নামাজের আগে নিয়ত করা, রোজা রাখার জন্য সাহরি খেয়ে রোজার নিয়ত করা ইত্যাদি। নিয়তের আভিধানিক অর্থ সংকল্প। অর্থাৎ নিজের মধ্যে কোনো কাজ করার জন্য একধরনের স্পৃহা তৈরি করা। ভালো কাজের নিয়ত করার অর্থ হলো নিজের চিন্তা-চেতনা মনকে মঙ্গলজনক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখা। সুরা জিলজালের ৭-৮নং আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেন, যে ব্যক্তি এক অণু পরিমাণ ভালো কাজ করবে, (কেয়ামতের দিন) তাও সে দেখতে পাবে আর (ঠিক তেমনি) কোনো মানুষ যদি অণু পরিমাণ খারাপ কাজ করে, তাও সে দেখতে পাবে। বস্তুত ভালো কাজ মনের প্রশান্তি বৃদ্ধি করে। ভালো কাজের নিয়ত করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। ভালো কাজের নিয়তকারী ব্যক্তি নবী, রসুল, অলি, আউলিয়া ও গাউছ কুতুবদের দলভুক্ত। কারণ নবী, রসুল ও আউলিয়ারা কখনো অন্যায়-জুলুম-ব্যভিচার করেন না। আল্লাহর সৃষ্টির ক্ষতি হয় এমনসব কাজ থেকে বিরত থাকেন। সুরা আদ দোহার ১১নং আয়াতে আল্লাহ নির্দেশ করেন, (নবী) আপনি আপনার প্রভুর নেয়ামতগুলো বর্ণনা করে যান। নবী, রসুল ও আউলিয়ারা মানুষকে ভালো কাজের প্রতি উৎসাহিত করেন। সৎকর্মের চিন্তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। মন্দ কাজের জন্য তওবা করার পরামর্শ দেন। সুরা আল ইমরানের ১০৪নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, তোমাদের মধ্য থেকে একটি দল থাকা উচিত যারা আহ্বান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভালো কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজে, আর তারাই হলো সফলকাম। মুসলিম শরিফে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, হজরত রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তোমাদের কারো চেহারা বা ধনদৌলতের দিকে তাকান না; বরং তিনি দেখেন তোমাদের হূদয় ও আমলকে। সুরা আনআমের ১৬০নং আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেন, কেউ কোনো সৎ কাজ করলে সে তার দশগুণ পাবে, কেউ যদি অসৎ কাজ করে তবে তাকে তারই প্রতিফল দেওয়া হবে আর তাদের প্রতি কোনো জুলুম করা হবে না। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে বেশি বেশি ভালো কাজের নিয়ত করার তওফিক দান করুন। আমিন। লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১