আপডেট : ২৬ January ২০১৯
লক্ষাধিক লোকের স্বাস্থ্য সেবার প্রাণ কেন্দ্র পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ইনডোর সেবা ১০ বছর পর চালুর অনুমতি পেয়েও চালু হচ্ছেনা শুধু বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে। হাসপাতালটিতে সব কিছু থাকা সত্বেও এখনো চালু করার উদ্যোগ নেই। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নয়াভিরাম আধুনিক ভবন, আসবাবপত্র, মেডিকেলের বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ একসেট অফিস ব্যবস্থাপক। চলছে নিয়মিত আউটডোর সেবা। এমনকি রোগী পথ্যের (ডায়েট) টেন্ডারও দেয়া হয়েছে। রয়েছে দুটি উন্নতমানের এ্যাম্বুলেন্স। শুধু মাত্র ডাক্তারের অভাবে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি করে আবাসিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ২০০৮ সালে চালু হওয়ার পরে এপর্যন্ত ইনডোর সেবা চালু হয় নাই হাসপাতালটিতে। ফলে ইন্দুরকানী উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পিরোজপুর, খুলনা, বরিশাল এমনকি ঢাকাতে গিয়েও চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। বর্তমান সরকার জনগনের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই আলোকে পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের আউটডোর সেবার মান বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন একটি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়েছে। রোগীদের জন্য খাবারের টেন্ডার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তারপরেও শুধু মাত্র ডাক্তারের অভাবে হাসপাতালটির ইনডোর সেবা চালু হচ্ছে না। ইনডোর সেবা চালুর দাবীতে এই এলাকার মানুষ বিভিন্ন সময় মানববন্ধন সহ নানান কর্মসূচী পালন করেছে। এটা চালু হাওয়াই তাদের প্রানের দাবী। এ বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শংকর কুমার ঘোষ জানান, হাসপাতাটিতে আরএমও এর পদ শূন্য। তিন জন মেডিকেল অফিসার থাকার কথা। কিন্তু মাত্র একজন মেডিকেল অফিসার দিয়ে আউটডোর সেবা দেয়া হচ্ছে। কনসালটেন্ট চার জনের জায়গায় রয়েছে মাত্র একজন। তাও আবার প্রেশনে। ডেন্টাল ডাক্তারের পদটি শূণ্য। উপসহকারী মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) রয়েছে একজন। তিনিও সাত মাসের মধ্যে পিআরএল এ যাচ্ছেন। তিনটি ইউনিয়নে ৩ জন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার থাকলেও তারা সবাই মহিলা। এর মধ্যে দুই জন নাজিরপুরে ডেপুটেশনে রয়েছেন। শুধু মাত্র পত্তাশী ইউনিয়নে একজন স্যাকমো রয়েছেন। অধিকাংশ মহিলা জনবল হওয়ায় তাদের দিয়ে রাতের ডিউটি করানো কষ্টসাধ্য। শুধু মাত্র মেডিকেল অফিসার ও সহকারী মেডিকেল অফিসারের অভাবে ইনডোর চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলো অবহিত করেছি। তারা ব্যবস্থা নিলেই দ্রুত ইনডোর চালু করা সম্ভব হবে। অপর দিকে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাকিল আহমেদ খান জানান, হাসপাতালে ব্যবহার ও খাবার পানির তীব্র সংকট রয়েছে। শুধু মাত্র একটি পুকুরের পানির উপরে নির্ভর করতে হয়। যেটা বর্ষার পানিতে পূর্ণ হয়ে থাকে। শীতের মৌসুমে শুকিয়ে যায়। পানির সমস্যার সমাধান করা জরুরী। না হলে হাসপাতাল পুরো দমে চালুর পরে সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করবে। এ ছাড়া হাসপাতাল স্ট্যাফদের থাকার কোয়ার্টার গুলোও ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১