আপডেট : ২৪ January ২০১৯
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সব যন্ত্রে ইন্টারনেট এবং মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে প্রাণিবীমা সেবা দেওয়ার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সূর্যমুখী লিমিটেড। দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের সহযোগিতায় সূর্যমুখী লিমিটেডের এই প্ল্যাটফমের নাম সূর্যমুখী প্রাণিসেবা। প্রযুক্তিনির্ভর এই প্রাণিবীমা প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কমপ্লেক্সে প্রাণিবীমায় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্তকরণ প্রযুক্তির প্রয়োগ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে সূর্যমুখী লিমিটেড এবং ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স। সেমিনারে জানানো হয়, প্রাণীর জাত উন্নয়ন, সফল প্রজনন, তথ্য সংরক্ষণ, গবাদি প্রাণী পালন ব্যবস্থাপনা, প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং সর্বোপরি গবাদি প্রাণীর বীমা সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে সূর্যমুখী প্রাণিসেবা নামের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। ইউকেএইডের সমর্থনে এবং বিজনেস ফিন্যান্স ফর দ্য পুওর ইন বাংলাদেশের (বিএফপিবি) সহযোগিতায় ক্রিয়েটিং ক্যাটল ইন্স্যুরেন্স মার্কেট বাই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) ট্র্যাকিং ইন বাংলাদেশ নামের প্রকল্পের ফল হিসেবেই সূর্যমুখী প্রাণিসেবা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার বলেন, এই প্রযুক্তি বাংলাদেশের জন্য জরুরি এবং লাগসই। বাংলাদেশ সরকার এবং প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট সূর্যমুখীর এই প্রযুক্তিকে আগ্রহের সঙ্গে দেখবে। তবে তিনি এই প্রযুক্তি যাতে সাধারণ কৃষকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সরকার এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের পরিপূরক হয়, সেই বিষয়ে উদ্যোক্তাদের নজর রাখতে বলেন। বিশেষ অতিথি বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, আমি সব জায়গায় সবাইকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য তৈরি থাকতে বলি। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম সূর্যমুখী প্রাণিসেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে চতুর্থ বিপ্লব চলে এসেছে। এতে কী নেই? সব যন্ত্রে ইন্টারনেট, মেশিন লার্নিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডাটা, ক্লাউড কম্পিউটিং, সব। সেমিনারে সূর্যমুখী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিদা হক বলেন, সূর্যমুখী প্রাণিসেবা প্ল্যাটফর্মের অংশ হিসেবে একটি বায়োসেন্সর গবাদি প্রাণীর পাকস্থলীতে স্থাপন করানো হয়। এই বায়োসেন্সর বা বোলাস প্রাণীর পাকস্থলী থেকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্তকরণ (আরএফআইডি) প্রক্রিয়ায় তথ্য তৈরি এবং ক্লাউডে প্রেরণ করে। এই বোলাস এবং আনুষঙ্গিক প্রযুক্তি অস্ট্রিয়ার ংসধঢঃবপ কোম্পানির তৈরি। নতুন প্রযুক্তির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্ম্যাক্সটেক বোলাস গবাদি প্রাণীর পাকস্থলীতে অন্তত ৫ বছর কার্যকর থাকে এবং গবাদি প্রাণীর দেহে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ও ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন এবং জার্মানির অ্যাগ্রিকালচার সোসাইটি (ডিএলজি) ল্যাবরেটরি থেকে এই প্রযুক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের নির্বাহী পরিচালক রফিকুর রহমান, পিকেএসএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রোগ্রাম) মো. ফজলুল কাদের, চ্যালেঞ্জ বিএফপি-বির ফান্ড ম্যানেজার আরাফাত হোসেন এবং স্ম্যাক্সটেক ব্যবসা উন্নয়ন ব্যবস্থাপক রিচার্ড শোবের।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১