আপডেট : ২৪ January ২০১৯
দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশে ইলেকট্রনিকস ও কৃষিজাত পণ্য খাতে বিনিয়োগ করতে চায় ফিলিপাইন। এজন্য আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য কীভাবে বাড়ানো যায় সেটি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। গতকাল বুধবার বিকালে সচিবালয়ে ঢাকায় ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিসেনতি ভিভেনসিও টি বান্দিলোর নেতৃত্বে একটি দল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠক করে। এ সময় বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিদায়ী অর্থবছরে দুই দেশের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫৫ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ রফতানিতে এগিয়ে। বাংলাদেশ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রফতানি করেছে ৪৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। বিপরীতে আমদানি করেছে ৮ মিলিয়ন ডলার। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে দেশটিতে বাংলাদেশের রফতানি দাঁড়িয়েছে ৩৭ বিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ ফিলিপাইনে শুল্কমুক্ত কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। বৈঠককালে দেশটিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফিলিপাইনে রফতানির আয়ের বড় অংশ দখল করে আছে তৈরি পোশাক খাত। এরপর রয়েছে ওষুধ শিল্প। এই দুটি পণ্যের রফতানি কীভাবে আরো বাড়ানো যায় সেটি নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। আলোচনা শেষে টিপু মুনশি বলেন, আমরা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক আরো নিবিড় করতে চাই। সে জন্যই ওরা এসেছে। আমরা আমাদের রফতানি বাড়াতে চাই। ফিলিপাইন তাদের রফতানি সম্প্রসারণ করতে চায়। ফিলিপাইন বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক সামগ্রী, এগ্রো ফুড প্রসেসিং ও চামড়া শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেবা খাতে ফিলিপাইনের কিছু জনবল বাংলাদেশে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনে ফিলিপাইন বিনিয়োগ করবে। বর্তমানে ফিলিপাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য খুব বেশি নয়। বাংলাদেশ ফিলিপাইনে প্রধানত তৈরি পোশাক শিল্পের এক্সেসরিজ, ওষুধসহ কিছু পণ্য রফতানি করে আসছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১