আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল আলমকে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ২৯ জানুয়ারি তাকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত ব্যানার্জি ও এ আর এম কামরুজ্জামান কাকন। খবর ইউএনবির।

জানা যায়, ২০০৫ সালের ৫ মার্চ তালেবুন নূর নামের একজন ব্যবসায়ী ৫১ লাখ টাকার একটি এফডিআর (মুদারবা) অ্যাকাউন্ট করেন। বর্তমানে তা সুদে-আসলে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হয়েছে। পরবর্তীতে তালেবুন নূর তার ব্যবসায়িক পার্টনার এআইএম হাসানুল মুজিবকে ওই অ্যাকাউন্টের টাকা উত্তোলনের জন্য ক্ষমতা দেন (অথরাইজড করেন)। পরে হাসানুল মুজিব টাকা উত্তোলনের আবেদন জানালে যমুনা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। পরে প্রতিকার চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সেখানেও প্রতিকার না পেয়ে ২০১৬ সালে টাকা উত্তোলনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান ব্যবসায়ী হাসানুল মুজিব।

এরপর ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে যমুনা ব্যাংকে ৩০ দিনের মধ্যে হাসানুল মুজিবকে এফডিআর'র টাকা প্রদানের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর এ আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন ও যমুনা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপিল করলে তা খারিজ হয় যায়। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে। তবে হাইকোর্টের আদেশের পরেও তা প্রতিপালন না করায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে একটি আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। সে মামলার শুনানি নিয়ে যমুনা ব্যাংকের এমডিকে তলব করল হাইকোর্ট।