চাঁদপুরের কচুয়ায় এক কিশোরীকে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণের ২০ঘন্টা পর কুমিল্লার চান্দিনার নবাবপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে কচুয়াা থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো: বাহালুল আলম মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ওই যুবতীকে উদ্ধার করে। অপহৃত কিশোরী বৃষ্টি (১৬) চট্রগ্রামের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

গত সোমবার রাতে অপহরণের শিকার কিশোরীর বাবা ৫ জনকে আসামী করে কচুয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার নং-২১/২০১৯। মামলায় স্থানীয় সফিবাদ এলাকার যুবক শাহনেওয়াজ (২৭), আবদুল মান্নান (২৬), ফয়সাল (২৩), বোরহান (২৮) ও পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সফিউল খান (৩৮) কে অভিযুক্ত করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে গাঁ ডাকা দিয়েছেন।

অন্যদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৪জনকে আটক করেছেন। আটকৃতরা হচ্ছেন, সালমান হোসেন (১৮), সজীব (১৯), ইসমাইল (১৮) ও মমতাজ বেগম (৬০)।

অপহৃত কিশোরীর স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামে বসবাসকারী মো: জামাল হোসেন সম্প্রতি তার কচুয়ায় তার বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। সোমবার জামাল হোসেনের স্কুলে পড়ুয়া কন্যা তার আত্মীয় আহাদকে নিয়ে একই উপজেলার সফিবাদ গ্রামে তার ফুফা কামরুল খন্দকারের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। এ সময় সিংআড্ডা গাবতলী বাজার এলাকায় আসলে সিএনজি চালক হাছানের সাথে ভাড়া নিয়ে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। পরে ওই যুবতী তার আত্মীয় কামরুল খন্দকারকে ফোন দিলে তিনি ইউপি সদস্য সফিউল খানকে বিষয়টি জানান। পরে ইউপি সদস্য সফিউল খান একই গ্রামের যুবলীগ নেতা শাহনেওয়াজ ঘটনাস্থলে পাঠান। এসময় শাহনেওয়াজ ও নাাসির উদ্দিন ওই যুবতীকে উঠিয়ে নিয়ে যায় বলে মেয়েটির স্বজনরা দাবি করেন।

কচুয়া থানার ওসি মো: আতাউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর ভিকটিমকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।