বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৭ January ২০১৯

বিস্ময়কর ঘৃতকুমারী


প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে থেকে ঘৃতকুমারী নানা অসুখ-বিসুখ সারাতে দারুণ কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে। ঘৃতকুমারীতে রয়েছে ৭৫-এর বেশি উপাদান। ঘৃতকুমারী পাতার ভেতরে যে স্বচ্ছ রস থাকে তাকে ঘৃতকুমারীর জেল বলা হয়। এতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, বি২, মিনারেল, অ্যামাইনো অ্যাসিড, এনজাইম, চিনি, সালিসিক অ্যাসিড, লিগনিন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, কপার, ফলিক অ্যাসিড ইত্যাদি।

হজমে সহায়তা : পরিপাক যন্ত্রকে সঠিক রেখে হজমে সহায়তা করে ঘৃতকুমারীর জুস। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ঘৃতকুমারীর জুসের বিকল্প নেই। পারস্যের এক গবেষণা মতে, ঘৃতকুমারী পেট ব্যথা দূর করে, পেট ফাঁপা দূর করে এবং বাতের সমস্যা দূর করে। ভারতীয় এক গবেষণায় বলা হয়েছে ঘৃতকুমারী পেপটিক আলসার নিরাময়ে কাজ করে। পরিপাকযন্ত্রকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত রাখতে, পেটের কৃমি দূর করতে ঘৃতকুমারী সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধে : ঘৃতকুমারীতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। এটি শরীরের প্রাকৃতিক ক্ষমতাকে বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে। জার্মানের এক গবেষণা মতে, ঘৃতকুমারীতে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান মুখের যত্নে ব্যবহূত হয়। কারণ এর জুস সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে যে ছাপ পড়ে তা দূর করে। তাছাড়া দেহের ভেতরের জমে থাকা বিষ দূর করে দেহকে সুস্থ রাখে ঘৃতকুমারীর জুস।

হার্টের সুস্থতায় : গবেষণা থেকে জানা যায়, উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত ১২ সপ্তাহ ঘৃতকুমারীর জুস খেলে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চ রক্তচাপ কমে। এটি রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করে, চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। দূষিত রক্ত দেহ থেকে অপসারণ করে এবং রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

মাংসপেশির ব্যথায় : ঘৃতকুমারীর জুস নিয়মিত পান করলে মাংসপেশীর ব্যথা ও জয়েন্টের ব্যথা দূর হয়। কারণ এতে রয়েছে বি সিসটারোলসহ ১২টি উপাদান যা ব্যথা দূর করে। এছাড়া হাত পায়ের গিঁটের জড়তা দূর করতেও সহায়তা করে।

ওজন কমাতে : ঘৃতকুমারীর অনেক গুণাগুণের মধ্যে অন্যতম একটি গুণ হলো ঘৃতকুমারী ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরে ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। ঘৃতকুমারীর জুস পানে এই প্রদাহ দূর হয়।

দাঁতের যত্নে : ঘৃতকুমারী দাঁত ও মাড়ির ব্যথা দূর করে এবং দাঁত সুস্থ রাখে। দাঁতের ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া দমনে সাহায্য করে,  ইনফেকশন দূর করতে, ক্ষয়রোধ করতে সাহায্য করে। মুখের দুর্গন্ধ ও ঘা দূর করতে সাহায্য করে ঘৃতকুমারী। ঘৃতকুমারীর জুস মাউথ ওয়াশের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং মুখের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখা যায়।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে : ঘৃতকুমারীর জুস খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

ক্যানসার প্রতিরোধে : ঘৃতকুমারীর জুসে রয়েছে ইমোডিন নামক উপাদান যা স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া শরীরের অন্যান্য ক্যানসার প্রতিরোধ করতে এটি সাহায্য করে।

ত্বক ও চুলের যত্নে : ঘৃতকুমারীর জেল ব্যবহারে ত্বকের দাগ এবং ব্রণ দূর হয়। চুলের যত্নেও এটি সাহায্য করে। মাথার খুশকি দূরীকরণ, চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, নতুন চুল গজানো ইত্যাদিতে ঘৃতকুমারী সাহায্য করে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১