নবনিযুক্ত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে যৌথভাবে সংবর্ধনা দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পাঁচ সংগঠন। সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

যৌথভাবে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা চলছে তা বেগবান হবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায়। বেসিস দীর্ঘদিন ধরেই তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বেসিস আজকের মতো আগামী দিনেও সবার সঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে।

এ ছাড়া নিজ নিজ বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার এবং জুনাইদ আহমেদ পলককে শুভেচ্ছা জানান বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, আইএসপিএবি’র সভাপতি এম এ হাকিম, বাক্যর সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ এবং ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাত আজ যে উচ্চতায় আসীন হয়েছে তার কৃতিত্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পাশাপাশি খাতসংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনগুলোরও। তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন একসঙ্গে মিলে কাজ করছে বলেই তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা নিজেদের চ্যালেঞ্জের কথা জানাতে পারছেন এবং সরকারের তরফ থেকে বরাদ্দকৃত প্রণোদনা সঠিকভাবে পাচ্ছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠনগুলোর কাজের পরিসর ও চ্যালেঞ্জ আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনা সম্পর্কেও আমি ওয়াকিবহাল। স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণ ও স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা বাড়লেই সুদৃঢ় হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি শোয়েব আহমেদ মাসুদ, মুশফিকুর রহমান, পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, দিদারুল আলম ও মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউক। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরাও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।