বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৩ January ২০১৯

ইন্দুরকানীতে শুটকি উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকেরা


ইন্দুরকানীতে শুটকি উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকেরা। কেউ বস্তা বন্দি করছে শুটকি মাছ, আবার কেউ কাঁচা মাছ কেটে কেটে রাখছেন মাচার উপরে। কেউ আবার মাচায় রাখা মাছ নেড়ে চেড়ে দিচ্ছেন শুকানোর জন্য। এটা দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম মৎস্য বন্দর পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের শুটকি প্রক্রিয়া করনের একটি খন্ড চিত্র। এই বন্দরের কয়েকটি মাচায় নিয়মিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুকানো হয়। যা চট্টগ্রামে রফতানি করছেন এখানকার মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এই মাছ চট্টগ্রাম থেকে রফতানি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এমনকি বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের কয়েক জন ব্যবসায়ী।

তারা জানান, আমরা সাগর থেকে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এখানে শুকিয়ে শুটকি করে চট্টগ্রামে পাঠাই। সেখান থেকে বিদেশেও এই মাছ রফতানি করা হয়। শুটকি মাছ হিসাবে সাধারনত ছুরি, ঢেলা, মধু ফ্যাসশা, বাইন, কাবিলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুকানো হয় এখানে। তবে মাছ শুকাতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হচ্ছে তাদের।

এ বিষয়ে শুটকি মাচার নিয়মিত শ্রমিকরা আঃ করিম, রাসেল, রবিসহ অনেকই জানান, পাড়েরহাটে মাছ শুকানোর মত নেই কোন উঁচু ভূমি। নেই ভাল কোন মাচাও। তাই পাড়েরহাট বন্দরের কঁচা নদী সংলগ্ন চরে নিজেরাই কোন ভাবে বালি দিয়ে উঁচু করে নিয়েছে কিছু জায়গা। তার উপরেই বাঁশ কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে শুটকির মাচা। যেখানে অল্প জোয়ারেই পানি উঠে যায়। আর সেই মাচার কাছে যাওয়ার মত নেই কোন রাস্তাও। আবার শুটকির মাচা থেকে অর্ধ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রাকে শুটকি উঠাতে হয়। তাই জোয়ার এলে চরম বিপাকে পড়তে হয় এই শুটকি ব্যবসায়ীদের। পাড়েরহাটে অন্তত ডজন খানেক শুটকি ব্যবসায়ী রয়েছেন। যারা নিজ উদ্যোগেই ব্যবসাটি চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে। তাই সরকারি সহযোগিতা কামনা করছেন এখানকার শুটকি ব্যবসায়ীরা।

তারা মনে করেন সরকারি সহযোগিতা পেলে বৃহৎ পরিষরে এখানে শুটকি উৎপাদন সম্ভব হবে। ফলে উপকূলীয় এই এলাকার অনেক বেকার মানুষের যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। তেমনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও বেড়ে যাবে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১