আপডেট : ১২ January ২০১৯
রাজধানীর বাজারগুলোতে চাল-ডালসহ প্রয়োজনীয় পাঁচটি পণ্যের দাম বেড়েছে। বছরের শুরুতে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। এই পাঁচ পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তি চালে। নির্বাচনের সময় যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সব চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা বেড়েছে। সরুচালের থেকে মোটা চালের দাম কম বেড়েছে। মোটা স্বর্ণা চালের দাম খুচরা বাজারে ২ টাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আটা, খোলা তেল ও ডিমের দাম বেড়েছে। সবজি, মাছ ও অন্যান্য পণ্যের দাম খুব একটা হেরফের হয়নি। মৌসুমের শেষ দিকে কিছু সবজির দাম সরবরাহের সঙ্গে ওঠানামা করলেও অন্যান্য সময়ের তুলনায় সেটা কম। তাই এ নিয়ে ক্রেতাদের মাথাব্যথা নেই। পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে পণ্যের চাহিদা বাড়লেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় সরবরাহ কমেছে। এ কারণে বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ডাল তেল ও আটার দাম গত বছরের পুরোটা সময় কম ছিল। ফলে লোকসান কমাতে অনেক ব্যবসায়ী বাধ্য হয়ে দাম বাড়িয়েছেন বলে দাবি কারো কারো। কারওয়ান বাজারে পাইকারি তেল বিক্রেতা সোনালী ট্রেডার্সের আবদুল কাশেম বলেন, গত এক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে পাম অয়েলের দাম বেড়েছে মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) প্রায় ১২০ টাকা। একই সময়ে সুপার পাম অয়েলের দামও মণপ্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে খুচরা বাজারে এসব তেল ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বছরের শুরুতে প্যাকেটজাত আটা-ময়দার দাম ২ টাকা বাড়িয়েছে করপোরেট কোম্পানিগুলো। এর প্রভাবে খোলা আটার দামও বেড়েছে। কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এখন প্রতি দুই কেজির আটার প্যাকেট ৭০ টাকা ও ময়দা ৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শেষ এক বছর সব থেকে স্থিতিশীল থাকা পণ্য ডাল। সেটার দাম এখন অতিরিক্ত বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মুগ ডালের দাম। কেজিতে এ ডালের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। প্রতি কেজি ভালো মানের মুগ ডালের দাম এখন ৯০ থেকে ১২০ টাকা। একই সময়ে মসুরের দামও বেড়েছে। কেজিতে ১০ টাকা। পণ্যটি এখন মানভেদে ৬০-১০০ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ৭০-১১০ টাকায়। খেসারি ও মটরের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা। ডিমের দাম বছরের শুরু থেকে বাড়লেও শীতের শুরুতে আরেক দফা বেড়েছিল। পরে দাম কমেও এসেছিল। বাজারে এক ডজন ফার্মের মুরগির ডিম কিনতে ক্রেতাকে এখন বাড়তি ব্যয় করতে হবে প্রায় ১৫ টাকা। ঢাকার অলিগলির খুচরা দোকানে ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। কাঁচাবাজারে প্রতি ডজন ডিম ১০০-১০৫ টাকায় কেনা যাচ্ছে। দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম কিনতে চাইলে হালিপ্রতি বাড়তি ১০ টাকা দিতে হবে। খুচরা দোকানে হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১