আপডেট : ৩১ December ২০১৮
রাত পোহালেই শেষ হয়ে যাবে ইংরেজি ক্যালেন্ডারের আরো একটি বছর। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই খুলে যাবে অর্জন আর প্রাপ্তির নতুন বছরের খাতা। যেখানে নতুন নতুন নাম লিপিবদ্ধ হবে। তবে নতুন বছরের আগেই পুরনো সেই বছরের (২০১৮) অর্জনের তালিকায় যা আছে তার কিছু স্মরণ করিয়ে দেওয়া দরকার। যার মধ্যে আছে বিজ্ঞানীদের কিছু গাছ আবিষ্কার। রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনের বিজ্ঞানীরা ২০১৮ সালে শতাধিক নতুন গাছ আবিষ্কার ও নামকরণ করেছেন। তার মধ্যে প্রধান ৫টি গাছের ছবিসহ পরিচয় এখানে : নেপেন্থেস বিয়াক (Nepenthes biak) ইন্দোনেশিয়ার নিউগিনির বিয়াক দ্বীপে দেখা মেলে এই মাংসাশী গাছের। মুখটা কলসির মতো হওয়ায় এর নাম পিচার প্লান্ট। বিশ্বে ১৫০ প্রজাতির পিচার প্ল্যান্ট রয়েছে। নতুন আবিষ্কৃত এই প্রজাতির নাম নেপেন্থেস বিয়াক।এই নেপেন্থেসের আবিষ্কারক হচ্ছেন আইরিশ বোটানিস্ট এবং টেক্সোনোমিস্ট স্পেশালিস্ট মেথিউ হিলারি পিটার জেব এবং রয়েল বোটানিক গার্ডেনের বোটানিস্ট এবং টেক্সোনোমিস্ট মার্টিন রয় চিক। লেব্বিয়া গ্রান্ডিফ্লোরা (Lebbiea grandiflora) সিয়েরা লিওনের একটি ঝর্ণাধারার পাশে সেওয়া নদীর কাছে পাথরের চারপাশে এবং গিনির কউকউতাম্বার ঝর্ণায় দেখা মেলে এই গাছটির। এর বৈজ্ঞানিক নাম লেব্বিয়া গ্রান্ডিফ্লোরা। গ্রান্ডিফ্লোরা মূলত ভেজা ঋতুর সময় সতেজ হয়ে ওঠে এবং শুষ্ক ঋতুতে শুধু বীজ হিসেবে বেঁচে থাকে। এই গ্রান্ডিফ্লোরার আবিষ্কারক হচ্ছেন প্রফেসর আহিয়া লেব্বিয়া। কিন্দিয়া গানগান (Kindia gangan) রয়েল বোটানিক গার্ডেনের বোটানিস্ট এবং টেক্সোনোমিস্ট মার্টিন রয় চিকের আরেকটি আবিষ্কার হচ্ছে ‘কিন্দিয়া গানগান’। পশ্চিম আফ্রিকার গিনির কিন্দিয়া শহরে দেখা যাওয়ায় শহরের নামের সঙ্গে গাছটির নাম মিলিয়ে রেখেছেন মার্টিন। শহরের খাড়া বেলে পাথরের পাহাড়ের মধ্যে এই গাছটিকে বেড়ে উঠতে দেখা যায়। এই গাছটি মূলত কফি পরিবারের সদস্য। পূর্ণাঙ্গ বয়সে এর ফল ভাঙার পর ভেতরে পাকা বীজ পাওয়া যায়। দ্য ক্লাইম্বিং ইয়াম বা ডায়োস হারটেরি বিশ্বব্যাপী অতি বিলুপ্তির তালিকায় থাকা গাছের মধ্যে রয়েছে দ্য ক্লাইম্বিং ইয়াম নামের পার্পেল রঙের এই গাছটি। এই গাছটি মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু নাটালে পাওয়া যায়। দ্য ক্লাইম্বিং ইয়াম নামের এই গাছটির বায়োনিক নাম ডায়োস হারটেরি। যা মূলত জোহান হারটারের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। তিনি মূলত প্রচুর মানুষকে দক্ষিণ আফ্রিকার ডায়োসকোরিয়া পড়তে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। ওরিয়োচেরিস ট্রাইব্র্যাকটিয়াটা (Oreocharis tribracteata ) হলুদ ফুলের এই গাছটির নাম ওরিয়োচেরিস ট্রাইব্র্যাকটিয়াটা। এই গাছ ভিয়েতনামে সবচেয়ে বেশি দেখা গেলেও এখন ব্রিটেনেও পাওয়া যায়। এই গাছটির এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যা এর আগে অন্য কোনো ওরিয়োচেরিসের প্রজাতিতে দেখা যায়নি। এই প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে তিনটি পুষ্পমঞ্জুরির ভিত্তিতে, যা এই প্রজাতিতে দুর্লভ।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১