নওগাঁ-২ আসনের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. সামসুজ্জোহা খাঁন নির্বাচন থেকে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ রোববার বিকেল ৩টায় তার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

 লিখিত বক্তব্যে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. সামসুজ্জোহা খাঁন জানান, ধামইরহাট উপজেলার উমার, আলমপুর, আড়ানগর, ধামইরহাট সদর ইউনিয়ন, জাহানপুর, ইসবপুর, ধামইরহাট পৌরসভার সকল কেন্দ্র হতে বিএনপি’র পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। এছাড়াও পত্নীতলা উপজেলার কাঁটাবাড়ি কেন্দ্র, আকবরপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, আকবরপুর, কৃষ্ণপুর কলেজ কেন্দ্র, চকশ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, দিঘীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও ফহিমপুর কেন্দ্র হতে বিএনপি’র সকল পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়।

তিনি আরো জানান, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া ছাড়াও ধামইরহাট উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নে কোকিল সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নুরুজ্জামান ও পবন মেম্বার দুইজন বিএনপি কর্মীকে মারধর করে। এদের মধ্যে নুরুজ্জামানের মাথা ফেটে যাওয়ায় সে বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। উমার ইউনিয়নের চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইউনিয়নের সাংগাঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর এর হাত ও ওয়ার্ড সভাপতি মানিকের পা আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা ভেঙ্গে দিয়েছে। বিহারী নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাঁধা প্রদান করা হয়েছে। আলমপুর ইউনিয়নে বস্তাবর দাখিল মাদ্রাসায় এজেন্টদের বের করে দিয়ে ব্যালট পেপারে নৌকার সিল মেরে বক্সে ভরানো হয়েছে। আড়ানগর ও ইসবপুর ইউনিয়নের সকল কেন্দ্রে বিএনপি’র এজেন্টদের বের করে দিয়ে ব্যালট পেপারে নৌকার সীল মেরে বাক্স ভরানো হয়েছে। এছাড়া পত্নীতলা উপজেলার কাঁটাবাড়ি কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের প্রতিবাদ করলে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা মোখলেছুর রহমান নামে এক বিএনপি কর্মীকে মেরে আহত করে। কৃষ্ণপুর কলেজ কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি। ঘোষনগর ফাজিল মাদ্রাসা ও বিদিরপুর কেন্দ্রে আইডি কার্ড ছাড়া ভোট প্রদান করতে দেওয়া হয়নি।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. সামসুজ্জোহা খাঁন আরো বলেন, এ সব অনিয়ম বিষয়ে বার বার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তারা শুধু আশ্বাসই প্রদান করেছেন। তাদের কাছ থেকে কোন সহায়তা পাওয়া যায়নি। প্রশাসন নীরব ভুমিকা পালন করেছেন। ভোট বর্জন করছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বর্জনের সিদ্ধান্ত কেন্দ্র দেবে। তবে এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন থেকে সরে আসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে তিনি জানান।