আপডেট : ২৯ December ২০১৮
মো. আল-আমিন নাহিদ দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রথম থেকেই এ নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের নানা প্রশ্ন, উদ্বেগ এবং শঙ্কা থাকলেও, এখন সব দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দীর্ঘদিন পর আবারো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উন্নয়নে মাইলফলক হয়ে থাকবে। শুধু তা-ই নয়, নব্বইয়ের স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর এবারই প্রথম দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করছি। তাই নির্বাচন কমিশনকে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, প্রশ্নমুক্ত, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মনে রাখতে হবে সরকার নির্বাচন কমিশনের সহায়ক শক্তি। এখানে মুখ্য প্রতিষ্ঠান হলো নির্বাচন কমিশন। তাই নির্বাচন কমিশনকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের উচিত হবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন করা যেন জনগণ বাধাহীন ও ভয়হীনভাবে তাদের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পারে। একজন প্রার্থীও যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় এবং ভোটার যেন ভয়মুক্ত হয়ে কেন্দ্রে যেতে পারে তা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এক্ষেত্রে সরকারের উচিত হবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা যাতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এটি সরকারের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করা। নির্বাচন বাঙালির কাছে উৎসব, পার্বণের মতো। এ-সময় মানুষের মধ্যে জাগরণ ঘটে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে মতাদর্শিক সমর্থন উপস্থাপনের ক্ষেত্রে। সরগরম হয়ে ওঠে প্রতিটি শহর-গ্রামের চা-স্টল। তর্ক-বিতর্কে ভোট নিয়ে যেমন উল্লাস থাকে, তেমনি থাকে একে অপরকে পরাজিত করার নেশা। এই বিষয়গুলোকে বাংলাদেশের নির্বাচনের আমেজ বা ঐতিহ্য বলা চলে। সাধারণ মানুষ যেন শান্তিপ্রিয় উপায়ে এই নির্বাচনী উৎসব পালন করতে পারে, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। নির্বাচন নিয়ে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচন করার নজিরও অনেক আছে। এবারের নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হওয়ায় মানুষের মাঝে শঙ্কা বিরাজ করছে। আর এই ভয় ও শঙ্কা উতরিয়ে নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে, এটাই জাতির প্রত্যাশা। সাধারণ জনগণ কোনো হানাহানি, রক্তপাত সংঘাতময় পরিস্থিতির আশা করে না। জনগণ যেন আনন্দচিত্তে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনকে করতে হবে। উপরন্তু নির্বাচন-পরবর্তী দেশে কোনো সহিংস পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই আমরা চাই উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা পাক। যদি নির্বাচন কমিশন সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে তবে জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, ভয়হীন, প্রশ্নমুক্ত এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারবে। বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। আর গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো নির্বাচন। সুতরাং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয় এই প্রত্যাশা সবার তথা দেশবাসীর। নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, ভীতিমুক্ত নির্বাচন আয়োজন করতে জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ। নির্বাচন কমিশন তার ওয়াদা রক্ষা করবেন এটাই জাতির প্রত্যাশা। লেখক : নির্বাহী, রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড, ভালুকা, ময়মনসিংহ
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১