আপডেট : ২৮ December ২০১৮
উৎসবমুখর উদ্বেগ মিশ্রিত প্রচারণা শেষ হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। ওই দিনেও দৃশ্যত ভোটের মাঠে নামতে পারেনি সরকারবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা। প্রচারণায় নামতে না পারা এবং প্রচারে না থাকা নিয়ে পরস্পর বিরোধী অভিযোগ ছিল। প্রচারণার মাঠে হাতগুটিয়ে বসে থাকার নেপথ্যে অনেক আসনে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলও উপসর্গ হিসেবে কাজ করেছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ভোটের মাঠে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং সেনা মোতায়েন রয়েছে। নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের হাতে। নির্বাচন কমিশনও অভিযোগ নিচ্ছে, কোথাও কোথাও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে কয়েক থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগ পুলিশ, র্যাব সদস্যরা ক্ষমতাসীন দলের অনুকূলে কাজ করছে। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশনের ‘নির্লজ্জ’ পক্ষপাতমূলক আচরণের পর তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কার্যকর ভূমিকা আশা করা দুরূহ। গতকাল চাঁদপুর, টাঙ্গাইল, পটুয়াখালী, যশোর, কুমিল্লা, গাজীপুর, ফেনী, নরসিংদী, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, পাবনা, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, দিনাজপুর, মেহেরপুর, চট্টগ্র্রাম, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহে বাধার কারণে প্রচারণা পণ্ড হয়েছে। বিএনপির মুখপাত্র রিজভীর অভিযোগ, প্রচারণার শেষদিনেও বিএনপির অন্তত ৬ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী নিজ বাসায় ‘অবরুদ্ধ’ দিনাতিপাত করছেন। এর মধ্যে ধানের শীষের প্রার্থী আফরোজা আব্বাসকে বাসা থেকে বের হতে দেয়নি আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনী। চাঁদপুর বিএনপির আহ্বায়ক ও ধানের শীষের প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক নিজ বাসায় অবরুদ্ধ। খুলনার খালিশপুরের ধানের শীষের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল দুদিন ধরে নিজ বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। ঝালকাঠিতে নিজ বাসায় অবরুদ্ধ ব্যারিস্টার শাহাজাহন ওমর, তিনি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। নারায়ণগঞ্জে ধানের শীষ প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন, ভোলার মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও ভোলার হাফিজ ইব্রাহিম, ঢাকার সালাহউদ্দিন আহম্মদ, লক্ষ্মীপুরে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, চাঁদপুরের মোশাররফ হোসেন, নরসিংদীর সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, ফেনীর ভিপি জয়নাল, নোয়াখালীর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রচারণায় মাঠে নামতেই পারেননি। সারা দেশে ধানের শীষ প্রতীকের হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই দেশের শত আসনে শেষ দিনে প্রচারণা চালাতেই পারেনি বলে দাবি রিজভী আহমদের। এদিকে বিএনপির এই অভিযোগকে পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছে ক্ষমতাসীন মহাজোট নেতারা। তারা অভিযোগ করে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা মাঠেই নামেনি। পোস্টারও ছাপেনি। অভিযোগের পাহাড় আর উদাহরণ তৈরি করতেই তাদের এই কৌশল। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট পোস্টার ছিঁড়ার অভিযোগ করেছে, আসলে তারা নির্বাচনে কোনো পোস্টারই ছাপেনি। ছিঁড়ে ফেললেও তো রাস্তাঘাটে থাকত। ভোলায় হাফিজ উদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেছেন, মেজর হাফিজ স্বেচ্ছায় ‘অবরুদ্ধ’ হয়েছেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১