বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৭ December ২০১৮

নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব)

হুমায়ূনের নৌকাকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি একজোট

নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমূদ হুমায়ূনের প্রতিনিধির পাঠানো ছবি


নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমূদ হুমায়ূনের নৌকাকে বিজয়ী করতে শুধু আওয়ামী লীগ নয় মাঠে নেমেছে বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা। এরই মধ্যে বিএনপির একটি বড় অংশের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগে যোগদান করে নৌকার পক্ষে কাজ করছে। অপরদিকে কোন্দল ভূলে নৌকার পক্ষে মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ফলে ভোটের মাঠে অপ্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে দলীয় কোন্দলের মাসুল গুণতে হতে পারে এ আসনের বিএনপি মনোনিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলকে।

নেতা-কর্মীরা জানিয়েছে, মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগে ছিল দ্বিধা-বিভক্তি। কিন্তু সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর পাল্টে যায় আওয়ামী লীগ। কারণ বকুল এমপি থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর দমন-নিপীড়ন করেছিলেন। পুরনো সেই অতীতের ভয়ে বকুলকে ঠেকাতে বিভেদ ভুলে নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ।

অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল ১/১১ সময়ে বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে বিএনপি থেকে ছিটকে পড়েন। সংস্কারপন্থী তকমা নিয়ে দলের বাইরে থাকায় এ আসনে বিএনপির হাল ধরেন লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির টিকিট নিয়ে নির্বাচন করেন সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা।

সংস্কারপন্থী ও দীর্ঘদিন দলীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা বকুলকে নির্বাচনের দুই মাস আগে দলে অন্তর্ভুক্ত করে মনোনয়ন দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন দীর্ঘদিন দলের হাল ধরে রাখা বিএনপির কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্ণেল জয়নুল আবেদনী এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাদের ভূঁইয়া জুয়েল। নিশ্ক্রিয় হয়ে পড়েন তাদের অনুসারীরাও।

এরই মধ্যে দুই উপজেলার বিএনপির বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতা ও তাদের কয়েক হাজার কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। এদের মধ্যে মনোহরদীতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন মাস্টার, কৃষক দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির চেয়ারম্যান, শুকুন্দী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল হক, বিএনপি নেতা বাকীউল ইসলাম বাকী এবং বেলাব উপজেলার বেলাব ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেম্বার স্বপন মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর ইসলাম হানিফ ও বিএনপি নেতা বিশিষ্ট শিল্পপতি আমানউল্লাহ অন্যতম।

আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া মনিরুজ্জামান মনির বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমি ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি।

নির্বাচনী মাঠে সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে গণসংযোগ করতে না পেরে নিজ বাড়িতে বসেই নির্বাচনের ছক কষছেন।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই-তিন জন ছাড়া সমস্ত কর্মী আমার পক্ষে মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগের হামলা, মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্বাচনের প্রচার চালাতে পারছেন না।

অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন মনোহরদী-বেলাবরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে শান্তি, নিরাপদ, উন্নয়ন ও বাসযোগ্য মনোহরদী-বেলাব গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, বকুলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আজ মনোহরদী-বেলাবতে মানুষের গণপ্রতিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও শান্তিতে বসবাস করতে চায়। তাই এবারের নির্বাচনে সকলের আস্থা শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১