বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৩ December ২০১৮

গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ভাংচুর

গাজীপুরে শ্রীপুরে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা প্রতিনিধির পাঠানো ছবি


গাজীপুরের শ্রীপুরে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানায় বহিরাগত শ্রমিকরা হামলা চালিয়েছে। আজ রোববার দুপুর থেকে দফায় দফায় ৫০টি কারখানায় ভাঙচুর করে উত্তেজিত শ্রমিকরা। এ সময় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে শ্রমিকরা। প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করায় যানজটের কবলে পড়ে যাত্রীরা।

বেলা ১২টার দিকে গাজীপুর সদরের মণ্ডল ফ্যাশন ও হাইফ্যাশন পোশাক কারখানায় প্রথমে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা এ সময় দুটি মোটর সাইকেল ও একটি কার্ভাডভ্যানে অগ্নিসংযোগ করে। পরে এ উত্তেজনা বাঘের বাজার মেম্বার বাড়ি, মাস্টার বাড়ি, নতুন বাজার, কেওয়া, মাওনা, নয়নপুর, জৈনা বাজার, বৈরাগির চালা,ভাংনাহাটিসহ আশপাশের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে।

বেতন ভাতা বৃদ্ধিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে শ্রমিকরা এ আন্দোলন করে বলে বেশ কিছু শ্রমিক জানান। আগামী বছরের জানুয়ারিতেই ঘোষণা অনুযায়ী নতুন বেতন অবকাঠামোতে সকল পোশাক কারখানায় বেতন দেওয়ার করার কথা রয়েছে। চলতি ঘোষিত বেতন কাঠামো মানতে নারাজ শ্রমিকরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বিক্ষুব্দ শ্রমিকদের লাঠিচার্জ করে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।

পোশাক শ্রমিকেরা জানান, বেশ কিছু পোশাক কারখানায় এখনো সরকারি নতুন ঘোষণামতে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও আবার টালবাহা শুরু করছে। এ নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিলে দুপুরে বাঘের বাজারের মণ্ডল গার্মেন্টেসে কর্ম বিরতি শুরু করে। খবর পেয়ে আশপাশের বেশ কিছু পোশাক কারখানার শ্রমিকরা একাত্মতা প্রকাশ করে মহাসড়কে নেমে পড়ে। মুহুর্তের মাঝেই এ খবরে হাজারো শ্রমিক আন্দোলনে যোগ দেয়।

ছাপিলা পাড়া এলাকার হ্যামস গার্মেন্টেসের কয়েকজন নারী শ্রমিক জানান, বিকালে আচমকা বহিরাগত বেশ কিছু শ্রমিক এসে কারখানায় ইটপাটকেল ছোড়ে কারখানার ভিতরে। এ সময় কারখানার বেশ কিছু জানালার  গ্লাস ভেঙে যায়। অবস্থার অবরতি দেখে আমাদের কারখানা ছুটি দিয়ে দেয়।

কেওয়া এলাকার আমানটেক্স পোশাক কারখানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক কর্মকর্তা জানান, তিন মাস ধরে কয়েকটি ফ্লোরের শ্রমিকসহ কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা প্রদান করছে না কতৃর্পক্ষ। এ নিয়ে চাপা অসন্তোষ চলছিল শ্রমিকদের মাঝে। আজ আশপাশের অসন্তোষের জেরে পাওনা টাকার দাবিতে শ্রমিকরা এ কারখানায় ভাঙচুর চালায়। পরে অবস্থার সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ ছুটি দেয় শ্রমিকদের।

মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন জানান, মহাসড়কে বেশ কিছু শ্রমিক অবস্থান নিলে সামান্য যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ তাদের কঠোর হলে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে যায়।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের ওসি হাবিবুর রহমান জানান, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দুটি মোটর সাইকেল ও একটি কার্ভাডভ্যানে আগুন দেয়। উত্তেজিত শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রন করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। সন্ধ্যার আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১