আপডেট : ২০ December ২০১৮
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি তিন গম্বুজবিশিষ্ট ‘ফকির বাল্লেগ শাহ্ মসজিদ’ মোঘল আমলে নির্মিত হয়েছে-এমনটিই ধারণা এলাকাবাসির। প্রায় ৫শ’ বছরের পুরনো মসজিদটি নাঙ্গলকোটে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে। প্রতিনিয়ত দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন মসজিদটিতে এক নজর দেখার জন্য, কেউবা এবাদত করার জন্য আসেন। বর্তমানে ‘ফকির বাল্লেগ শাহ্ মসজিদে’ শেওলা আর লতা-পাতায় আছান্ন হয়ে রং নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি নামাজ পড়া জন্য লোকজনও বেশি হয়। তাই পুরনো এই মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এর পাশে নির্মাণ করা হয়েছে আরো একটি মসজিদ। ওই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মসজিদ বলে জানা গেছে। এখানে নারীদের নামাজের জন্য আলেদা ব্যবস্থা রয়েছে। কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাংগড্ডা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে পশ্চিম-উত্তর দিকে দাড়াচৌ গ্রামে অবস্থিত ফকির বাল্লেগ শাহ্ খন্দকারের মসজিদ। প্রায় দেড় শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি। অবশ্য মূল ভবন এক শতাংশ জমির ওপর। মসজিদটিতে প্রতিদিন অনেক লোক আসে। এদের কেউ আসে এবাদত করার জন্য। কেউবা একনজর দেখার জন্য। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ার জন্য নাঙ্গলকোট উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলার নারী-পুরুষ এখানে আসেন। লোকমুখে প্রচলিত, ‘পঞ্চদশ’ শতাব্দীর দিকে ফকির বাল্লেগ শাহ্ খন্দকার নামে একজন ধর্মপ্রচারক বা দরবেশ এখানে আসেন। তিনি সিলেট হযরত শাহ্জালাল (রা:) এর সঙ্গীয় ৩৬০ অলির একজন। হযরত শাহ্জালাল (রা:) সহ তিনি রাজা গুরুগবীন্ধের সাথে যুদ্ধ করেন। পরে তিনি হযরত শাহ্জালাল (রা:) নির্দেষে ইসলাম প্রচার করা জন্য এই অঞ্চলে আসেন। তিনি এ অঞ্চলের মানুষদেরকে ইসলামী জ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার জন্য ও ইবাদত করার জন্য আনুমানিক ‘পঞ্চদশ’ শতাব্দীর দিকে মসজিদটি নির্মাণ করেন। নির্মাণের সময় মসজিদের পাশে কোনো বসতি ছিল না। পরে আস্তে আস্তে পুরো এলাকায় মানুষের বসবাস শুরু হয়। মসজিদটির খেদমত কারী স্থানীয় কয়েক জানান, তাদের বাপ দাদার কছে শুনেছেন, এই মসজিদের অনেক রহস্য রয়েছে। এখানে প্রতি বছর স্থানিয়রা বাৎসরিক উরুস মাহফিল করেন। প্রতি শুক্রবারে অনেক লোকজন মানতের উদ্দেশ্যে আসেন। প্রায় ৫শ বছর আগের এই মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সংস্কার করার প্রয়োজন। প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকা খরচ করে এর পাশে নির্মাণ করা হয়েছে আরো একটি মসজিদ। তাই পুরান মসজিদে বর্তমানে নামাজ পড়া হয় না। স্থানীয়দের দাবী মসজিদটি অতি দ্রুত সংস্কার করা হোক। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দাউদ হোসেন চৌধুরী জানান, ‘খবর নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার সচেতন লোকদেরকে নিয়ে মোঘল আমলে নির্মিত ফকির বাল্লেগ শাহ্ মসজিদটি আরো সৌন্দয্য বৃদ্ধি করার জন্য সংষ্কার করা হবে।’
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১