বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৪ December ২০১৮

সহিংসতায় ষড়যন্ত্রের আলামত দেখছে ইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা ছবি : সংগৃহীত


প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর মাঠে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পরদিন দেশের নানা স্থানে সংঘটিত সহিংসতায় ষড়যন্ত্রের আলামত দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতীক বরাদ্দের পরদিনই নানা দুর্ঘটনা ঘটল, গেল দুটি জীবন। কমিশন মনে করে, নির্বাচনের চেয়ে ওই দুটো জীবনের মূল্য অনেক। এগুলোর পেছনে কি শুধুই রাজনৈতিক, সামাজিক কারণ নাকি সেই ২০১৪ সালের মতো ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা কিংবা কোনো তৃতীয় শক্তির কলকাটি নাড়ায় এসব হচ্ছে এগুলো খুঁজে বের করা খুব জরুরি। ইসির পক্ষ থেকে অবশ্য এরই মধ্যে এসব বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সতর্ক নজরদারির তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব প্রশ্নের উত্তর উত্তর খুঁজে বের করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

রাজধানীর আগারগাওয়ের নির্বাচন ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভায় এসব নির্দেশনা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বক্তব্য দেন। বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর প্রধান ও প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধান ও প্রতিনিধিরা ছাড়াও বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

গোয়েন্দাদের সতর্ক নজরদারির নির্দেশনা দিয়ে সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন নিয়ে যখন স্বতঃস্ফূর্ত জনজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক তখনই খুনের ঘটনা। তিনি বলেন, হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হালকাভাবে নিলে হবে না। এদেশের স্বাভাবিক রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হোক এটি চায় না বলে কোনো প্রভাবশালী মহল হয়তো সক্রিয় থাকতেও পারে। আমরা আশঙ্কাগুলো একেবারেই অবহেলা করতে পারি না। এগুলোর পেছনে কি শুধুই রাজনৈতিক, সামাজিক কারণ নাকি সেই ২০১৪ সালের মতো ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে তা কিন্তু ভালোভাবে নজরে নিতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সতর্ক নজরদারি থাকতে হবে। রাজনৈতিক নেতাদেরও সতর্ক অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের রেশ টেনে সিইসি বলেন, সেই নির্বাচনের অবস্থা ভুলে গেলে চলবে না। তখন ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনার আলোকে আমাদের এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতির রূপরেখা ও কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ওই সময় মাঠে সব বাহিনীই ছিল। সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিও ছিল। তবুও পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিল, প্রিসাইডিং অফিসার নিহত হয়েছিল, ম্যাজিস্ট্রেট নিহত হয়েছে, শত শত মানুষ নিহত হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে। সেটি আমরা কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি- সে প্রসঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন নেই। তবে এ বিষয়টি আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। এবারের নির্বাচনে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ভোটভাগ্য আমরা মাস্তানদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না।

নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, দায়িত্ব পালনকালে পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সব বাহিনীর কৌশল ঠিক করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সব থেকে বেশি তথ্য-উপাত্ত থাকে। তথ্য, উপাত্তগুলো প্রয়োগ করে অন্যান্য সব বাহিনীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ছক তৈরি করতে হবে। সব গোয়েন্দা সংস্থার সতর্ক নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে এবং এতে বিজিবিকে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজন হবে। কারণ এতে তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নজরদারি রাখার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, নারী ভোটারদের নিরাপত্তার বিষয়টি আলাদাভাবে খেয়াল রাখতে হবে। যাতে ভোট দিয়ে তারা নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। প্রতিটি এলাকার মাস্তান ও গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের তালিকা তৈরি করতে হবে। সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজন হলে তাদের আটক করতে হবে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিনা কারণে কাউকে গ্রেফতার ও কারো বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা না করারও নির্দেশনা দেন সিইসি।

ইভিএম প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এবার আমরা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করতে চাই। নির্বাচন কমিশন মনে করে ইভিএম সেরকম একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে ভোটারদের ভোটের নিশ্চয়তা প্রদান করা সম্ভব হবে। আমরা ছয়টি এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করতে যাচ্ছি। সে ছয়টি এলাকায় যার যার দায়িত্ব তাদের অনুরোধ করব, সেগুলোর দিকে আলাদাভাবে দৃষ্টি দেওয়া, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। ইভিএম সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এদেশের শতকরা ৮০ভাগ অনিয়ম দুরীভূত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন কে এম নুরুল হুদা।

প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর মাঠে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পরদিন দেশের নানা স্থানে সংঘটিত সহিংসতায় ষড়যন্ত্রের আলামত দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতীক বরাদ্দের পরদিনই নানা দুর্ঘটনা ঘটল, গেল দুটি জীবন। কমিশন মনে করে, নির্বাচনের চেয়ে ওই দুটো জীবনের মূল্য অনেক। এগুলোর পেছনে কি শুধুই রাজনৈতিক, সামাজিক কারণ নাকি সেই ২০১৪ সালের মতো ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা কিংবা কোনো তৃতীয় শক্তির কলকাটি নাড়ায় এসব হচ্ছে এগুলো খুঁজে বের করা খুব জরুরি। ইসির পক্ষ থেকে অবশ্য এরই মধ্যে এসব বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সতর্ক নজরদারির তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব প্রশ্নের উত্তর উত্তর খুঁজে বের করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

রাজধানীর আগারগাওয়ের নির্বাচন ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভায় এসব নির্দেশনা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বক্তব্য দেন। বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর প্রধান ও প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধান ও প্রতিনিধিরা ছাড়াও বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

গোয়েন্দাদের সতর্ক নজরদারির নির্দেশনা দিয়ে সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন নিয়ে যখন স্বতঃস্ফূর্ত জনজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক তখনই খুনের ঘটনা। তিনি বলেন, হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হালকাভাবে নিলে হবে না। এদেশের স্বাভাবিক রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হোক এটি চায় না বলে কোনো প্রভাবশালী মহল হয়তো সক্রিয় থাকতেও পারে। আমরা আশঙ্কাগুলো একেবারেই অবহেলা করতে পারি না। এগুলোর পেছনে কি শুধুই রাজনৈতিক, সামাজিক কারণ নাকি সেই ২০১৪ সালের মতো ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে তা কিন্তু ভালোভাবে নজরে নিতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সতর্ক নজরদারি থাকতে হবে। রাজনৈতিক নেতাদেরও সতর্ক অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের রেশ টেনে সিইসি বলেন, সেই নির্বাচনের অবস্থা ভুলে গেলে চলবে না। তখন ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনার আলোকে আমাদের এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতির রূপরেখা ও কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ওই সময় মাঠে সব বাহিনীই ছিল। সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিও ছিল। তবুও পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিল, প্রিসাইডিং অফিসার নিহত হয়েছিল, ম্যাজিস্ট্রেট নিহত হয়েছে, শত শত মানুষ নিহত হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে। সেটি আমরা কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি- সে প্রসঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন নেই। তবে এ বিষয়টি আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। এবারের নির্বাচনে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ভোটভাগ্য আমরা মাস্তানদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না।

নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, দায়িত্ব পালনকালে পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সব বাহিনীর কৌশল ঠিক করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সব থেকে বেশি তথ্য-উপাত্ত থাকে। তথ্য, উপাত্তগুলো প্রয়োগ করে অন্যান্য সব বাহিনীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ছক তৈরি করতে হবে। সব গোয়েন্দা সংস্থার সতর্ক নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে এবং এতে বিজিবিকে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজন হবে। কারণ এতে তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নজরদারি রাখার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, নারী ভোটারদের নিরাপত্তার বিষয়টি আলাদাভাবে খেয়াল রাখতে হবে। যাতে ভোট দিয়ে তারা নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। প্রতিটি এলাকার মাস্তান ও গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের তালিকা তৈরি করতে হবে। সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজন হলে তাদের আটক করতে হবে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিনা কারণে কাউকে গ্রেফতার ও কারো বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা না করারও নির্দেশনা দেন সিইসি।

ইভিএম প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এবার আমরা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করতে চাই। নির্বাচন কমিশন মনে করে ইভিএম সেরকম একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে ভোটারদের ভোটের নিশ্চয়তা প্রদান করা সম্ভব হবে। আমরা ছয়টি এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করতে যাচ্ছি। সে ছয়টি এলাকায় যার যার দায়িত্ব তাদের অনুরোধ করব, সেগুলোর দিকে আলাদাভাবে দৃষ্টি দেওয়া, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। ইভিএম সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এদেশের শতকরা ৮০ভাগ অনিয়ম দুরীভূত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন কে এম নুরুল হুদা।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১