আপডেট : ১০ December ২০১৮
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৮ সালে আয়-সম্পদ ছিল নগণ্য। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তা বেড়েছে উল্লেখ করার মতো। অবশ্য, তখন ঋণের বোঝা ছিল। এখন সেই ঋণ শোধ দিয়েছেন তিনি। সম্পদের পরিমাণ লাখের অঙ্ক থেকে কোটিতে পৌঁছে গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দেওয়া হলফনামায় জানা যায়, এই ১০ বছরে আবদুল মজিদ খানের আয় বেড়েছে ২৪ গুণ। আর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৩৩ গুণেরও বেশি। ২০০৮ সালে যখন প্রথম নির্বাচন করেন তখন তার কৃষিজমি ছিল চার একর। তাও পৈতৃক সূত্রে পাওয়া। কৃষি খাতে বছরে তার আয় ছিল মাত্র ১০ হাজার টাকা। আইনজীবী হিসেবে আয় করতেন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তখন স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৫ টাকার। অকৃষিজমি ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৫ টাকার। তিনটি আধাপাকা ঘর ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় আবদুল মজিদ খানের বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫ লাখ ১০ হাজার ৪৫০ টাকা। কৃষি খাতে আয় ২৫ হাজার ২০০ টাকা। বাড়িভাড়া থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫০ টাকা। আর আইন পেশা থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ওই সময়ে তার হাতে নগদ ছিল ১ লাখ টাকা; ব্যাংকে জমা ছিল ৩ লাখ টাকা। এই টাকাসহ তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মোট পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৪১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৯ টাকা। অবশ্য বাড়ি নির্মাণ বাবদ তিনি ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৮০০ টাকার ঋণ দেখিয়েছিলেন তখন। এবারের হলফনামায় তার কোনো ঋণ নেই বলে উল্লেখ করেছেন। আয় ও সম্পদ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে গত পাঁচ বছরে। বর্তমানে বার্ষিক আয় ৩৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪০০ টাকা। কৃষি খাত থেকে পান ২৩ হাজার ৪০০ টাকা। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া থেকে পান ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা। মৎস্য খামার থেকে আয় ২০ লাখ টাকা। পারিতোষিক থেকে ৬ লাখ ৬০ হাজার। সংসদ সদস্য অন্যান্য খাত হিসেবে রবিশস্যকে উল্লেখ করে এই খাত থেকে বছরে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা আয় করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১