একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেছেন বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল রোববার বিকালে তার পক্ষে রিট আবেদন করেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। আজ সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং বিচারপতি ইকবাল কবীরের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। গত শনিবার ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বাতিল আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পরই ইসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানির জন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ব্যারিস্টার মীর হেলাল ও ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান উপস্থিত ছিলেন।

ব্যারিস্টার নওশাদ জমির রিট সম্পর্কে বলেন, মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিষয়ে রিট করেছি। খালেদা জিয়ার আচরণবিধির প্রেক্ষাপট দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়ন বাতিল করে। আমরা নির্বাচনবিধি (১২)-১-এর ‘ঘ’ অনুসারে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছি। সেখানে যেসব সেকশন রয়েছে সেগুলো নির্বাচনী আচরণ সংক্রান্ত। নির্বাচনের মাঠে কেউ যদি কোনো অপরাধ করে, যেমন— মনোনয়নপত্র দাখিল ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর সময় কাউকে মারধর, কাউকে গুলি করে আহত করা, ভোটকেন্দ্রে অরাজক অবস্থা তৈরি করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা- এসব ক্ষেত্রে নির্বাচন সংক্রান্ত বিধিতে মনোনয়নপত্র বাতিল করা যায়। এখনো সে অবস্থাই তৈরি হয়নি। কারণ খালেদা জিয়া এখন কারাগারে। তার দ্বারা এসব অপরাধে জড়িত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

গত ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত দেন। শুনানিতে প্রার্থিতা বহালের পক্ষে মত দেন মাহবুব তালুকদার। এর বিপক্ষে মত দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন। পরে ইসির এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে রিট করা হয়।

নির্বাচন কমিশনের পুনঃতফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ। গতকাল ৯ ডিসেম্বর ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। আজ প্রতীক বরাদ্দ। প্রতীক বরাদ্দ হলেই প্রার্থী-সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।