আপডেট : ০৯ December ২০১৮
যুগশ্রেষ্ঠ শিক্ষা উদ্যোক্তা সৈয়দ আবুল হোসেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ তার এ স্বীকৃতি রূপ কথার গল্পের মতো। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবহেলিত মানুষের শিক্ষা প্রসারে চেষ্টা করছেন অবিরত। পরিচিতির গণ্ডি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও আছে কম-বেশি। স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ‘ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র’ গত শুক্রবার তোপখানা রোডের অডিটোরিয়ামে ‘যুগশ্রেষ্ঠ শিক্ষা উদ্যোক্তা স্বর্ণপদক ও সম্মাননা’র বিরল স্বীকৃতিতে ভূষিত করে সৈয়দ আবুল হোসেনকে। শৈশবে নিজ এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাবে অনেক ছেলেমেয়ের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যেতে দেখেছেন। পড়ালেখার ওই দুরবস্থা নাড়া দেয় সৈয়দ আবুল হোসেনকে। স্বপ্ন দেখেন দেশে শিক্ষা প্রসারের। সেই আলোকে কাজও করেছেন গত অর্ধ শতাব্দী। বলা যায়, শিক্ষা বিস্তারে দেশে যারা কাজ করেছেন সৈয়দ আবুল হোসেন তাদের মধ্যে অন্যতম। গুণী এই মানুষটি লেখাপড়া শেষে কর্মজীবনের শুরু থেকেই কাজ শুরু করেন শিক্ষা বিস্তারে। নিজস্ব অর্থায়নে নিজ এলাকা মাদারীপুরে ৬টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এরমধ্যে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। প্রতিষ্ঠা করেন অসংখ্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরে সরকারিকরণ করা হয় এসব স্কুল। শিক্ষা প্রসারের পাশাপাশি দুর্যোগ-দুর্বিপাকেও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকেন সৈয়দ আবুল হোসেন। এসব দুর্যোগে নগদ টাকা, জমিসহ নানা সাহায্য-সহযোগিতা করায় দানবীর হিসেবেও খ্যাত সৈয়দ আবুল হোসেন। লেখালেখিতেও অভ্যাস আছে তার। নানা বিষয়ে লিখেছেন বেশ কিছু বই। এ ছাড়া যুক্ত দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে। দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্মাননা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আক্ষেপ করে বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে যে কথিত অভিযোগ উঠেছে কানাডার আদালতে তা অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবুও এই গুণী মানুষটিকে তার উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়া হয়নি বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ বরেণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১