বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৮ December ২০১৮

ভোট কারচুপির অনেক সেল করেছে সরকার : বিএনপি

লোগো বিএনপি


আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ ও প্রশাসনের মাধ্যমে কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, ভোটে কারচুপির জন্য জোন (অঞ্চল) ভাগ করে পুলিশের ১২ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর, ঢাকা বিভাগ, ময়মনসিংহ বিভাগে এডিশনাল আইজি, ডিআইজি ও এআইজি র্যাংকের অফিসারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী ও রংপুর জোনে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ডিআইজি ও এআইজি পদমর্যাদার অফিসারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খুলনা ও বরিশাল জোনেও একইভাবে এসবির অতিরিক্ত আইজি, ডিআইজি এবং সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন পুলিশ সদর দফতরের একজন পদস্থ কর্মকর্তা। পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট জোনগুলোর বৈঠক সম্পন্ন করেছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তিনজন সদস্যের ব্যাপারে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, আসন্ন নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাৎ হোসেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসারদের নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সেল স্থাপন করা হয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সেলের কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের প্র্রার্থিতা বাতিল করা হয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট কাউকে স্বতন্ত্র প্রার্থী না করার বিষয়ে কড়া নির্দেশনা ছিল। ইসিও আপিলে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা বহালের ক্ষেত্রে ওই নির্দেশনা অনুসরণ করেছে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুুল মোবারককে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা সেলের আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা জানান, পুলিশের উল্লিখিত ১২ কর্মকর্তা ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রভিত্তিক আওয়ামী লীগ-বিএনপির কেন্দ্রের তালিকা, কেন্দ্রভিত্তিক হিন্দু ভোটারদের অবস্থান, কেন্দ্রভিত্তিক বিএনপির অবস্থান, কেন্দ্রভিত্তিক বিএনপির প্রভাবশালীদের নামের তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত ব্যালটের বাইরে অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানো হবে; যা থানায় ভোটের আগে সংরক্ষণ করে রাখা হবে। প্রয়োজনমতো ব্যালট বাক্সে ঢোকানো হবে। প্রস্তুত করে রাখা নকল সিল প্যাড প্রিজাইডিং অফিসারদেরকে সরবরাহ করবে পুলিশ। নির্বাচন কমিশনে মূল সিল প্যাড এবং স্বাক্ষর থাকবে আর বিএনপির পোলিং এজেন্টদেরকে নকল সিলপ্যাড ও স্বাক্ষরে মূল ফল সংবলিত শিট সরবরাহ করা হবে। প্রিজাইডিং অফিসারদের মূল স্বাক্ষরে ফল শিটে ভোটগণনা পরিবর্তন করে রিটার্নিং অফিসারকে প্রেরণ করার নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, আরো বিভিন্ন বিষয়ে জানা যাচ্ছে যে, একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থাকে পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাটি ইলেকশন ওয়ার্কিং ফোরাম নামে ইসির নিবন্ধিত ২০ সংস্থার ব্যানারে একটি মোর্চা গঠন করেছে। এই মোর্চার অধীন ২০ হাজার দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকের তালিকা প্রস্তুত করছে; যারা নির্বাচনের দিন আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোটকেন্দ্রে থাকবে। এই বিষয়গুলো সমন্বয় করছে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগমনাদের নিয়ে গঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাচন পর্যবেক্ষক সমন্বয় উপকমিটি। আওয়ামী লীগ সারা দেশে দুই লাখ পোলিং এজেন্টকে বিভিন্নভাবো করছে। নিয়ন্ত্রিত ভোট করার বিষয়ে তাদেরকে ভোটকেন্দ্রে অবস্থানের কৌশল শেখানো হচ্ছে। 

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১