একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের কার্যক্রম ঠিক করতে ডাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জেলার দুই জন জাতীয় পার্টির এমপিকে নিয়ে অসন্তোষমূলক বক্তব্য এসেছে নেতাদের বক্তব্যে। তাদের অভিযোগ, এখন পর্যন্ত সংসদ সদস্যরা আওয়ামী লীগের নেতাদের ডাকেনি। বরং অবমূল্যায়ন করেছে।

সোমবার সন্ধ্যায় শহরের দুই নং রেল গেট নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওই সভায় কয়েকজন নেতা উচ্চ স্বরে মাইকে কথা বলতে গেলে তাদের থামিয়ে দেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আবু হাসনাত শহীদ মো.বাদল।

উল্লেখ্য,  জেলার ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের তিনজন ও দুটি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থনে যে কোনো সময়ে প্রচারণায় নামতে প্রস্তুত। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৫ আসনের এখনো আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়া হয়নি বা কারো পক্ষে কাজ করতে কেন্দ্র থেকে নিদের্শনা দেওয়া হয়নি। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান মহাজোটের প্রার্থী হওয়া ও নির্বাচিত হওয়ার পরে কোনো সময় জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাই। এর পাশাপাশি বর্তমানেও তার মহাজোটের জাতীয় পার্টি থেকে মনোয়ন পাওয়া পরেও কোনো যোগাযোগ করেনি। এমনকি তাদের মনোনয়ন দেওয়া ও নেওয়াকালে জেলা আওয়ামী লীগের অনেকে ছিলেন না।

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।  নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল। একই সঙ্গে নির্বাচনী কোনো বিধি নিষেধ না থাকলে যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

জেলা আওয়ামীলীগের কমিটির বাকী সদস্যরা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং প্রত্যেক থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা পদাধিকার বলে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

বৈঠক শেষে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এবং নৌকার বিজয়ে মহাজোটের প্রার্থীদের নিয়ে আমরা কাজ করবো।

মহাজোটের মনোনীত জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আমাদেরকে সেই সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হবে। মহাজোট থেকে যাকেই প্রার্থী করা হবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জজামান আসাদ, আরজু রহমান ভূইয়াঁ প্রমুখ।