বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০১ December ২০১৮

এনবিআরের লক্ষ্য ১ কোটি করদাতা

দুই বছরে ইটিআইএন ৫০ লাখ ছাড়াবে

এনবিআর সংরক্ষিত ছবি


ইটিআইএনধারী মানুষের সংখ্যা আগামী দুই বছরে ৫০ লাখ দাঁড়াবে বলে রাজস্ব প্রশাসন আশা করে। বর্তমানে এই সংখ্যা ৩৮ লাখ। একই সঙ্গে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) রাজস্ব অনুপাত ১২ শতাংশ নিতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। করদাতার সংখ্যা ১৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে এক কোটিতে নিতে চায় সংস্থাটি। এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে করদাতা বাড়ছে। গত দুই বছর ধরে রিটার্ন দাখিল ৪০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০১৪ সালে করদাতার সংখ্যা ছিল ১২ লাখ। গত ৪ বছরে করদাতার এ সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর ভবন প্রাঙ্গণে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আয়কর বাড়াতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে প্রতিবছর ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস পালন করে এনবিআর।

এবার দিবসটির স্লোগান, উন্নয়ন ও উত্তরণ, আয়করের অর্জন। আর প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয় আয়কর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ। প্রতিবছর দিনটি উদযাপনে র্যালি হলেও এবার নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধ থাকায় সেটি হয়নি। ভবন এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এনবিআরের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা সিরাজুল ইসলাম বলেন, সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন কর আদায়ের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার। আমার ৩৩ বছরের চাকরি জীবনে দেখলাম, আয়কর বেড়েছে ২৬ গুণ। ১৯৮৬ সালে আমাদের কালেকশন ছিল ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, সেখান থেকে ২৬ গুণ বেড়ে অনেক বড় ফিগার হয়েছে। আরো যদি ২৬ গুণ বাড়ে, তাহলে বাংলাদেশ তৃতীয় বড় অর্থনীতি হবে পৃথিবীতে। ২৬ গুণ বাড়লে হবে ৭৮০ বিলিয়ন ডলার। যেখানে চীনের দেড় হাজার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার বিলিয়ন ডলার। কর আদায়ের পরিমাণ যদি দশ গুণ বাড়ানো সম্ভব হয় তাহলে আমরা উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাব।

এই কর্মকর্তা জানান, করদাতাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়েছে। নানা সংস্কারের মাধ্যমে করবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে এনবিআর কাজ করছে। ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু পরিকল্পনা আছে, যা বাস্তবায়ন হলে করদাতাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরো ইতিবাচক হবে। সেবা প্রদান জনবান্ধব করতে এনবিআরকে ভবিষ্যতে আরো ডিজিটাল করা হবে। তিনি বলেন, রিটার্ন দাখিল গত দুই বছর ধরে ৪০ শতাংশ হারে বাড়ছে। সক্রিয় করদাতা এখন ১৫ লাখ, যখন তা ১ কোটি হয়ে যাবে তখন দেশের আরো বেশি উন্নয়ন হবে। কর অনুপাত ১২ শতাংশে নিয়ে যেতে পারলে অর্থনীতি মজবুত হবে।

অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য কালিপদ হালদার বলেন, গত বছর করদাতা ছিল ৩২ লাখ, এ বছর তা ৩৮ লাখ হয়েছে। কর আদায় ১০ বছরে পাঁচ গুণ হয়েছে। করদাতাদের ভেতর আয়কর নিয়ে এক সময় নেতিবাচক ধারণা ছিল। কিন্তু আয়কর মেলা ও দিবস পালনের মাধ্যমে তা দূর হয়েছে। কিন্তু এখন তরুণরা নিজ উদ্যোগে কর দিতে আসছে। এমনকি নারীরাও কর দিচ্ছে।   

তারকারা যা বললেন : অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, কর প্রদানে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে তরুণদের। আর তরুণদের প্রথম ভোট যেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হয়।

গায়ক শুভ্র দেব বলেন, বাংলাদেশে এখন কর প্রদানের পরিবেশ খুবই ভালো। নিজেদের টাকা দিয়ে আমরা পদ্মা সেতু করতে পারলে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ারও করতে পারব। আর তা করতে চাইলে সবাইকে কর দিতে হবে।

চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন কর দেওয়া বাহাদুরি, কর দেওয়ার মাধ্যমে আমিও তা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। পদ্মা সেতুর কোনো একটি রড আমার টাকায় কেনা তা নিয়ে আমি মনেপ্রাণে গর্ববোধ করি। কর দেওয়া অভ্যাসের ব্যাপার। তাই সবাইকে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১